বিদেশে অর্থ পাচার

আট মাসেও প্রতিবেদন না দেওয়ায় আদালতের উষ্মা

প্রকাশ | ২৫ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট
সুইস ব্যাংকসহ অন্যান্য বিদেশি ব্যাংকে বাংলাদেশের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অর্থ পাচারের ঘটনায় আদালতের নির্দেশে শুধু পুলিশের মহাপরিদর্শক প্রতিবেদন দিয়েছেন। বাকি ১৩ বিবাদী আট মাসেও প্রতিবেদন না দেওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন উচ্চ আদালত। রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন দেওয়ার পর বাকি ১৩ বিবাদীকে প্রতিবেদন দিতে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান। বিদেশি ব্যাংক, বিশেষত সুইস ব্যাংকে পাচার করা 'বিপুল পরিমাণ' অর্থ উদ্ধারের যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে গত ১ ফেব্রম্নয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৮ ফেব্রম্নয়ারি বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। সুইস ব্যাংকসহ অন্যান্য বিদেশি ব্যাংকে বাংলাদেশের ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোনো সত্তা- কে কত টাকা পাচার করেছে, পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে এবং পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে তথ্য জানতে চাওয়া হয়। এদিকে রোববার প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদালত বলেন, 'কেন আদালতের আদেশ প্রতিপালন করা হয়নি? শুধু পুলিশ আদেশ প্রতিপালন করেছে। বাকিরা কোথায়? এটা ঠিক নয়, আমরা কোর্ট একটা আদেশ দিলাম। আমরা রুল দিয়েছি গত ২৮ ফেব্রম্নয়ারি। প্রায় এক বছর হয়ে গেল রুলের জবাবটাই দাখিল করা হলো না। আর কী বলব? এ নিয়ে কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।' এ মামলায় ১৪ নম্বর বিবাদী ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক। এ আদেশ অনুসারে সিআইডির দেওয়া এসব তথ্য পুলিশ মহাপরিদর্শকের পক্ষে গত ১২ জুলাই অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে ৩১০ কোটি ৮০ লাখ ১৪ হাজার ৭৪৮ টাকা এবং ১০১ মিলিয়ন ইউএস ডলার পাচারের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ফিলিপাইন ও শ্রীলংকা থেকে ৩৪ দশমিক ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।