মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ইলিশ শিকারে প্রস্তুত চাঁদপুরের জেলেরা

ম চাঁদপুর প্রতিনিধি
  ২৫ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

নিরাপদে ইলিশের প্রজনন রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন চাঁদপুরের জেলেরা। রোববার নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে আবারও নদীতে মাছ শিকারে মুখিয়ে রয়েছেন জেলেরা।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞায় গত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশের মতো চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার নৌ সীমানায়ও ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহণ, মজুত ও বিনিময় ছিল বন্ধ।

নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেই জেলেরা নেমে পড়বেন রুপালি ইলিশের সন্ধানে। তাই মতলবের ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত চাঁদপুরের ৭০ কিলোমিটার এলাকার অর্ধলাখ জেলে তাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। ইতোমধ্যে তারা নদীতে মাছ ধরার জন্য তাদের নৌকা মেরামতের পাশাপাশি পুরনো জাল সেলাই করেছেন।

এদিকে নিষেধাজ্ঞার সময়টাতে নদীতে মাছ ধরতে না পারায় মানবেতর জীবন যাপন করেছেন অনেক জেলে। তবে অনেক অসাধু জেলে এবার নিষেধাজ্ঞা না মেনেই নদীতে মাছ শিকার করেছেন। এমনকি তারা পুলিশের ওপর হামলাও করেছেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্ণীপুর মডেল ইউনিয়নের সাখুয়া গ্রামের জেলে হানিফ গাজী, কালু খাঁ, আব্দুল আজিজ ও মামুন খাঁ বলেন, সরকার নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকে আমরা আর নদীতে নামিনি। কিন্তু বাইরের জেলেরা চাঁদপুরের সীমানায় এসে ইলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার সময়ে মাছ ধরতে না পারায়, আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন পার করেছি।

জেলেরা আরও বলেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে, বিভিন্ন এনজিও ও মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে জাল ও নৌকা মেরামত করে নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছি। নদীতে নেমে যদি আশানুরূপ ইলিশ না পাই, তাহলে আমাদের দুঃখের শেষ থাকবে না।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, মা-ইলিশ রক্ষা কার্যক্রমকে সফল করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা অনেক সহযোগিতা করেছেন। বিগত বছরের মতো এ বছরও চাঁদপুরে মা-ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম অত্যন্ত সফল হয়েছে। আমরা দিন-রাত নদীতে টহল দিয়ে মা-ইলিশকে ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ইলিশের বাড়ির অভয়াশ্রম আমরা সংরক্ষণ করার চেষ্টা করেছি।

মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, অভিযানের কারণে এবার ইলিশ প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে এবং আমরা কমদামে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারব। ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সামনের জাটকা রক্ষা অভিযান আরও জোরদার করা হবে। যারা প্রকৃত জেলে, তারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন। কিছু অসাধু জেলে নদীতে মাছ ধরেছেন, আমরা তাদের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে নেমেছি। আমরা যেভাবে প্রচার-প্রচারণা করেছি, প্রকৃত জেলেরা উদ্বুদ্ধ হয়েছে। যার কারণে তারা নদীতে নামেনি। আশা করি জেলেরা নদীতে নেমে ইলিশ পাবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে