করোনার টিকা ছাড়াই আসা যাবে দেশে

করোনার টিকা নেওয়া ছাড়াই আসা যাবে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেতে করোনার কারণে জারি করা নির্দেশনাগুলো তুলে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে পৃথিবীর যে কোনো দেশে (সে দেশের বিধিনিষেধ অনুযায়ী) যাওয়া বা সেসব দেশ থেকে বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে আর নিষেধাজ্ঞা থাকছে না। এক সার্কুলারে বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন বিভাগের সদস্য গ্রম্নপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী এম জিয়া উল কবির এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে ১৩টি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে বেবিচক। দেশগুলো হচ্ছে- আরমেনিয়া, বুলগেরিয়া, এস্তোনিয়া, জর্জিয়া, লাটভিয়া, মোলডোভা, ফিলিস্তিন, মঙ্গোলিয়া, রোমানিয়া, সার্বিয়া, স্স্নোভেনিয়া ও ইউক্রেন। সার্কুলারে বেবিচক জানায়, এসব দেশ থেকে যারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত যে কোনো একটি করোনার টিকার পূর্ণাঙ্গ ডোজ নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন তাদের সাত দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এছাড়া যারা টিকা ছাড়া আসবেন তাদের সাত দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এছাড়া এই ১৩ দেশ ছাড়া অন্যান্য দেশের যাত্রীরা যদি টিকার পূর্ণাঙ্গ ডোজ নিয়ে দেশে আসেন সেক্ষেত্রে তাদের কোনো কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না। আগে তাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হতো। এই ১৩ দেশ ছাড়া অন্যান্য দেশের যাত্রীরা যদি টিকার পূর্ণাঙ্গ ডোজ না নিয়ে বাংলাদেশে আসেন তাহলে তাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আদেশটি ২৪ অক্টোবর থেকে কার্যকরের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বেবিচক জানিয়েছে, বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের মধ্যে কারও যদি করোনার লক্ষণ-উপসর্গ দেখা যায় তাহলে তাকে ৭ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে সরকার নির্ধারিত হোটেলে থাকতে হবে। ৭ দিন পর তারা করোনা পরীক্ষা করাবে। নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে কোয়ারেন্টাইন শেষ করবে। এছাড়া যেসব যাত্রী বাংলাদেশে আসবেন ও বাংলাদেশ ছেড়ে যাবেন তাদের ফ্লাইটের ৭২ ঘণ্টা আগে আরটি পিসিআর পরীক্ষা করে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিতে হবে। তবে ১২ বছরের নিচে কোনো শিশুর ক্ষেত্রে এ বাধ্যবাধকতা নেই। বিদেশি কূটনীতিকদের কোয়ারেন্টিনের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত গাইডলাইন মানতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসনকে কোয়ারেন্টিনের বিষয়গুলো নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।