শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দেশবাসীর দোয়া চেয়েছেন খালেদা জিয়া

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৭ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০
খালেদা জিয়া

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। তবে অন্যতম প্রধান সমস্যা রক্তক্ষরণ আপাতত হচ্ছে না। এ অবস্থায় সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি। শুক্রবার মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর

পরিবারের পাঁচ সদস্য দেখা করতে গেলে তাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।

অন্যান্য দিনের তুলনায় এ দিন চিকিৎসকদের সঙ্গে তিনি কিছুটা কথা বলেছেন। মওলানা ভাসানীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে ভাসানীর মেয়ে মাহমুদা খানম ভাসানী সংবাদমাধ্যমকে জানান, খালেদা জিয়া সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। খালেদা জিয়া এখন কথা বলতে পারছেন, তবে খুব ধীরে ধীরে। তিনি খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাকে বিদেশে পাঠিয়ে সুচিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জোর দাবি জানাই।

ভাসানীর নাতি হাবিব হাসান মনা ও মাহমুদুল হক শানু খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য মওলানা ভাসানীর পরিবারের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানান। ভাসানীর পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভাসানীর বড় মেয়ে রিজিয়া ভাসানী, নাতনি সুরাইয়া সুলতানা। আধা ঘণ্টার মতো তারা হাসপাতালে অবস্থান করেন।

এ সময় তাদের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

শুক্রবার খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানা গেছে, তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের পরামর্শে এ দিনও তার নিউরো মেডিসিন পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের নিচতলায় নিউক্লিয়ার মিডিসিন অ্যান্ড মলিকিউলার ইমেজিংয়ে নিয়ে আসা হয়। পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে আবারও তাকে চতুর্থ তলার সিসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়।

মেডিকেল বোর্ডের এক চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিকভাবে গুরুতর কোনো অবনতি ঘটেনি। তার শরীরের প্যারামিটার অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে। শারীরিক দুর্বলতা প্রচন্ড আকারে থাকলেও মানসিকভাবে খালেদা জিয়া অনেক শক্ত রয়েছেন। যার কারণে তাদের কাজটা অনেক সহজ হচ্ছে।

তিনি বলেন, আপাতত তার শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে না। তার লিভারে যে রক্ত জমাট বেঁধেছিল তাও বের করে আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তার যে আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়েছে তার রিপোর্টও অনেকটা ভালো এসেছে। তবে কিছু রিপোর্ট ভালো আসেনি। এখন অন্যান্য পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য তারা অপেক্ষা করছেন। তার দেহে খনিজ অসমতা পূরণে চেষ্টা চলছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চেষ্টার অংশ হিসেবে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৭৬ বছর বয়সি খালেদা জিয়া অনেক বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। ১৩ নভেম্বর থেকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। লিভারের জটিলতায় তাকে রক্ত দিতে হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে খালেদা জিয়াকে নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে