বাজার-সদাই

মৌসুমি সবজির দামে স্বস্তি অপরিবর্তিত মাছ-মাংস

প্রকাশ | ২৭ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০ | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২১, ০৯:৪১

ম যাযাদি রিপোর্ট

অবশেষে রাজধানীর বাজারে কমতে শুরু করেছে শিম ও ফুলকপিসহ মৌসুমি সবজির দাম। এছাড়া এক সপ্তাহের ব্যবধানে কমতির দিকে রয়েছে ব্রয়লার ও পাকিস্তানি কক মুরগিসহ ডিমের দাম। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ ও মাংসের দাম। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দামের এমন চিত্রই দেখা গেছে। এদিন কারওয়ান বাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০-৭০ টাকা। এছাড়া দাম কমেছে ফুলকপি, মুলা, লাউ ও বাঁধাকপির। সপ্তাহ ব্যবধানে কমপক্ষে ৫-১০ টাকা কমে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হয়েছে ২০-২৫ টাকা দরে। মাঝারি আকারের ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকা দরে। অন্যদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে প্রায় ২০ টাকা কমে মাঝারি আকারের লাউ বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকা দরে। ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে মৌসুমি সবজি বিশেষ করে ফুলকপি ও শিমের ব্যাপক সরবরাহ থাকায় দাম কমতির দিকে রয়েছে। সরবরাহের এ হার অব্যাহত থাকলে আগামী সপ্তাহে দাম আরও কমবে বলে জানান তারা। তবে এসব বাজারে অন্যান্য সবজির দাম এখনো বাড়াতি। এ সপ্তাহেও টমেটোর কেজি বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৬০ টাকা। আর গাজরের কেজি বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকার উপরে। ঢঁ্যাড়স, করোলা, বরবটি, বেগুন, দেশি শসাসহ অধিকাংশ সবজি বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকার মধ্যে। এছাড়া দাম গত সপ্তাহের মতোই আছে চিচিঙ্গা, কাঁচাকলা, পটোল, পেঁপে ও ঝিঙ্গাসহ বেশকিছু সবজির। এসব সবজির কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকার ওপরে। তবে শুক্রবার রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে প্রায় ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৫০ টাকা এবং পাকিস্তানি ককে আকার ও বাজার ভেদে প্রতি কেজিতে প্রায় ১০-১৫ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ২৪০-২৫০ টাকার মধ্যে। এছাড়া দাম কমেছে মুরগির ডিমেরও। প্রায় ২ মাস পর এদিন বাজারগুলোতে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১০০-১০৫ টাকা দরে। মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহ ব্যবধানে প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে সবধরনের মাছে দাম। এদিন আকারভেদে রুই মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হয়েছে কাতল মাছের কেজি। শিং মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। আর শোল মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাশ ও কই মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। এছাড়া গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হয়েছে প্রায় সব ধরনের দেশি ও নদী-নালার মাছ। প্রতি কেজি বোয়াল আকার ভেদে বিক্রি হয়েছে ৪০০-৬৫০ টাকায় আর আইড় মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকার ওপরে। অন্যদিকে কোরাল ও চিংড়িসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকার ওপরে। এছাড়া এদিন বড় আকারের ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা। আর মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৭০০-৮০০ টাকা কেজি দরে। দেশি বড় চিংড়ি বিক্রি হয়েছে ৬৫০-৭৫০ টাকা দরে। হরিণা, বাগদা ও গলদা আকারভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা দরে।