'রাজধানীর ৮০ শতাংশ ভবনে নেই পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা'

প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকা শহরের ৮০ ভাগ আবাসিক-বাণিজ্যিক ভবনে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান। শনিবার দুপুরে কারওয়ানবাজারে ওয়াসা ভবনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। ওয়াসার এমডি বলেন, রাজউক আইনে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিধান রয়েছে। কিন্তু ঢাকার মাত্র ২০ শতাংশ ভবনে রয়েছে এই ব্যবস্থা। বাকি ভবনগুলো সিটি করপোরেশনের নালায় সরাসরি সংযোগ দেওয়া। তাদের ছয় মাসের সময় দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এই সময়ের মধ্যে তা না করলে এই নালাগুলো বন্ধ করে দেবে ডিএনসিসি। তিনি বলেন, এই অব্যবস্থাপনা দূর করতে রাজধানীর দাসেরকান্দি, উত্তরা, রায়েরবাজার, মিরপুর ও নারায়ণগঞ্জের পাগলায় পৃথক পাঁচটি পস্ন্যান্ট স্থাপনের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দাসেরকান্দির কাজ শেষ পর্যায়ে। ২০২৩ সালের মধ্যে এগুলো বাস্তবায়ন হলে খাল-নদী দূষণমুক্ত হবে। ঢাকা ওয়াসার মূল লক্ষ্য পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও গণমুখী পানি ব্যবস্থাপনা বলে জানান ওয়াসার এমডি। তিনি বলেন, কর্মসূচির আওতায় নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করে ওয়াসা। তারই পরিক্রমায় ঢাকা ওয়াসা আজ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি রোল মডেল। বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার দৈনিক পানি উত্তোলন ও উৎপাদন সক্ষমতা ২৭০-২৭৫ কোটি লিটার এবং দৈনিক ২৬০-২৬৫ কোটি লিটার পানির চাহিদার পুরোটাই ঢাকা ওয়াসা সরবরাহ করছে। বর্তমানে ওয়াসার মোট উৎপাদিত পানির শতকরা ৩৩ ভাগ ভূ-উপরিস্থ উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয় বলে জানান তাকসিম এ খান। তিনি বলেন, ৬৭ ভাগ পানি ভূ-গর্ভস্থ উৎস তথা গভীর নলকূপ হতে আসছে। ২০২৩ সাল নাগাদ ঢাকা শহরে সরবরাহ করা পানির ৭০ ভাগ আসবে ভূ-উপরিস্থ পানির উৎস থেকে। অবশিষ্ট ৩০ ভাগ ভূ-গর্ভস্থ তথা গভীর নলকূপ থেকে। ঢাকা শহরে মোট ১৪৫টি ডিএমএ'র মধ্যে এ পর্যন্ত ৭১টি ডিএমএ স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে তাকসিম এ খান বলেন, বাকি ডিএমএগুলোর কাজ চলমান আছে, যা ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে। ডিএমএ হলো এলাকাভিত্তিক পানি সরবরাহ ব্যবস্থার একটি আধুনিক পদ্ধতি। কোনো এলাকায় পানির স্বল্পতা দেখা দিলে পার্শ্ববর্তী ডিএমএ হতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি আনা হয়। আর পানি উদ্বৃত্ত হলে পার্শ্ববর্তী ডিএমএতে পানি সরবরাহ করা হয়। ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প, ফেজ-৩ এর প্রস্তুতিমূলক কাজ এগিয়ে চলছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দৈনিক ৪৫ কোটি লিটার পানি শোধন করে নগরীতে সরবরাহ করা হবে। এডিবি, এএফডি, ইআইবি এবং কেএফ ডবিস্নউ'র আর্থিক সহায়তায় মেঘনা নদী থেকে পানি এনে শোধনের জন্য 'গন্ধবপুর পানি শোধনাগার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে নগরীতে দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হবে।