শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ

প্রকাশ | ১০ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
বুকে-পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ ¯েøাগান লিখে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে নূর হোসেন Ñফাইল ছবি
আজ ১০ নভেম্বর, শহীদ নূর হোসেন দিবস। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলন-সংগ্রামের গুরুত্বপূণর্ একদিন। ১৯৮৭ সালের এই দিনে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী গণ-আন্দোলনে বুকে-পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ ¯েøাগান লিখে বিক্ষোভ করেন যুবলীগ নেতা নূর হোসেন। রাজধানীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় (বতর্মান শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার) পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তিনি। নূর হোসেনের এ আত্মদান স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। সেদিন নূর হোসেন ছাড়াও যুবলীগের আরেক নেতা নূরুল হুদা ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের খেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা শহীদ হন। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসক এরশাদের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর দিনটি শহীদ নূর হোসেন দিবস বা গণতন্ত্র মুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। নূর হোসেনের পৈতৃক বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ঝাতবুনিয়া গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধের পর তার পরিবার ঢাকায় চলে আসে। তার বাবা মুজিবুর রহমান অটোরিকশা চালক। মা মরিয়ম বিবি ছিলেন গৃহিণী। অথৈর্নতিক অসচ্ছলতার কারণে অষ্টম শ্রেণির পর নূর হোসেনের পড়াশুনা বন্ধ হয়ে যায়। তিনি বাবার পথ ধরে মোটরচালক হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন। পেশাগত জীবনে নূর হোসেন ঢাকা মিনিবাস সমিতির বাসের সুপারভাইজর হিসেবে দীঘির্দন কাজ করেন। তারুণ্যে পা দিয়েই তিনি রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন।