সব গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য গড়তে হবে -মির্জা ফখরুল

প্রকাশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নব্বইয়ের আন্দোলন সফল হয়েছিল তখনই, যখন গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিগুলো এক হয়েছিল। আজকেও ঠিক একইভাবে সব গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে, দেশপ্রেমিক শক্তিগুলোকে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এর মধ্য দিয়ে বর্তমান ভয়াবহ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। সোমবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের উদ্যোগে স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ছাত্র-জনতার গণঅভু্যত্থানে সাবেক সামরিক শাসক এইচএম এরশাদ পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে বিএনপি এই দিনকে স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকারের সঙ্গে গণতন্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা গণতন্ত্রবিরোধী সরকার, তারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়েছে বলে আজকে বিভিন্নভাবে জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে ফেরানোর জন্য বিভ্রান্ত করছে। খালেদা জিয়াকে দ্রম্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যখন সব দেশ, জাতি, মানুষ খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো দরকার বলে দাবি করছে, তখন এই সরকার তাকে যেতে দিচ্ছে না। সরকার বিভিন্ন রকম কথা বলছে। আইনের কথা বলছে। আইন বাধা নয়, বাধা হচ্ছে সরকার। তথ্য প্রতিমন্ত্রী প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, সোশাল মিডিয়ায় জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে অত্যন্ত জঘন্য, নিকৃষ্ট কথা-বার্তা বলছেন একজন ভুঁইফোড় ডাক্তার। সে নাকি একসময় ছাত্রদল করত। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের প্রচার সম্পাদক ছিল। পরবর্তীকালে সে ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছে। ওই প্রতিমন্ত্রী বলেছে, আমি যা কিছু করছি, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই করছি এবং তিনি সব কিছু জানেন। এখন প্রধানমন্ত্রীকে এই কথা সত্য কি মিথ্যা জানাতে হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে তীব্রভাবে শুধু প্রতিবাদ নয়, ঘৃণা প্রকাশ করছি ও ধিক্কার জানাচ্ছি। এই পর্যায়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের দ্বিতীয়তলায় যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহিন দাঁড়িয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের দ্ব্বিমত পোষণ করে বলেন, মুরাদ ছাত্রদল করেনি। এ সময় মহাসচিবের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে এই তরুণ যুবদল নেতা। স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, সরকারের অধপতন যখন হয় এভাবেই হয়। ফুটপাত থেকে ধরে এনে মন্ত্রী বানিয়েছে। এখন নতুন একটা জুটছে। সে এখন বিএনপির বিরুদ্ধে, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যিনি মুমূর্ষু রোগী, মৃতু্যর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, তার বিরুদ্ধে অশ্রাব্য কটূক্তি করছে সেই নেত্রীর পরিবার সম্পর্কে, তারেক রহমানের পরিবার সম্পর্কে অশ্রাব্য কটূক্তি করছে। এগুলো সহ্য করা যায় না। স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকারকে বলতে চাই, এত মারপঁ্যাচ না করে সোজাসুজি বলেন, খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেবেন, কি দেবেন না। ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উলস্নাহ আমানের সভাপতিত্বে ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক মিলনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় নব্বইয়ের সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে ডক্টর আসাদুজ্জামান রিপন, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নাজিম উদ্দিন আলম, জহির উদ্দিন স্ব্বপন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাইফুদ্দিন মনি, খন্দকার লুৎফুর রহমান, আসাদুর রহমান খান, কামরুজ্জামান রতন, এবিএম মোশাররফ হোসেন, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।