বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা দিতে আদালতের রায় দ্রম্নত বাস্তবায়নের দাবি

প্রকাশ | ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট
বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা প্রদানে আদালতের রায় দ্রম্নত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি। বুধবার 'বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা প্রদানে হাইকোর্ট প্রদত্ত রায়ের বাস্তবায়ন' শীর্ষক আলোচনা সভায় এই দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি এ বছর ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ (সিক্সটিন ডে অ্যাক্টিভিজম) পালন করছে। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলীর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেসনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার ডক্টর সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। তিনি দ্রম্নত বীরাঙ্গনাদের প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ ও তাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সমান অধিকার ও ভাতা নিশ্চিত করার দাবি জানান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- বিশিষ্ট লেখক ও সমাজসেবী মিতালী হোসেন। তিনি বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধে প্রায় তিন লাখ নারী পাকিস্তানি হানাদার ও রাজাকারদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হন। এসব বীরাঙ্গনাদের যোগ্য সম্মান ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি সময়ের দাবি।' অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, 'ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণঅভু্যত্থান এবং ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নারীর ভূমিকা ও অংশগ্রহণ ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীনতার সময় যেসব নারী পাকিস্তানি সেনা এবং তাদের সহযোগী রাজাকারদের দ্বারা বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের 'বীরাঙ্গনা' উপাধি দিয়েছিলেন। এই বীরাঙ্গনারাও যে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, এ কথা আমরা ভুলে যাই। তাদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজন 'মুক্তিযোদ্ধা' খেতাব পেয়েছেন।