একাদশ সংসদ নিবার্চন

ঋণখেলাপি নিয়ে নিবার্চন কমিশনের দ্বিমুখী নীতি

ক্ষুদ্র কৃষিঋণ ব্যতীত বাকি ঋণগ্রহীতাদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সাতদিন আগে ঋণ বা কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় তাদের প্রাথির্তা বাতিল হবে

প্রকাশ | ১১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে ঋণখেলাপিদের নিয়ে দ্বিমুখী নীতি গ্রহণ করেছে নিবার্চন কমিশন (ইসি)। নিবার্চনের আগ মুহূতের্ এসে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে সংশোধনী এনে এ নীতি নিয়েছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি। এজন্য খেলাপিদের সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি হয়েছে। তবে এতে কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছে ইসি। তফসিল ঘোষণার কয়েক দিন আগে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও ফামের্র অংশীদারদের এ সুবিধা দেয়া হয়। তারা মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগের দিন পযর্ন্ত ঋণ বা কিস্তি পরিশোধের সুযোগ পাবেন। তবে ক্ষুদ্র কৃষিঋণ ব্যতীত বাকি ঋণগ্রহীতাদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সাতদিন আগে ঋণ বা কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় তাদের প্রাথির্তা বাতিল হবে। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন উপলক্ষে ইসির জারি করা পরিপত্র-১-এ বৈষম্যের এ চিত্র উঠে এসেছে। একটি মহলের চাপে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ইসির একাধিক কমর্কতার্ জানান। এর আগে সব ধরনের প্রাথীের্ক সাতদিন আগে খেলাপি ঋণ পরিশোধ করতে হতো। কিন্তু এবার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও ফামের্র অংশীদারদের জন্য সেটা শিথিল করেছে ইসি। পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘আরপিওর ১২ এর ‘এম’ ‘উপ-ধারা সংশোধন হওয়ায় কোম্পানির পরিচালক বা ফামের্র অংশীদার কোনো ব্যাংক বা আথির্ক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত ঋণ বা তার কোনো কিস্তি মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে পরিশোধে খেলাপি হলে নিবার্চনে প্রাথীর্ হওয়ার অযোগ্য হবেন।’ ‘কিন্তু আরপিওর ১২ ধারার ১-এর ‘এল’ ‘উপ-ধারা সংশোধন না হওয়ায় কৃষি কাজের জন্য গৃহীত ক্ষুদ্র কৃষিঋণ ব্যতীত মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সাত দিন আগে ব্যাংক বা আথির্ক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত ঋণ বা কোনো কিস্তি পরিশোধে খেলাপি হলে নিবার্চনে প্রাথীর্ হওয়ার অযোগ্য হবেন। সেই সঙ্গে ১২ ধারা ১-এর ‘এন’ উপ-ধারা একইভাবে সংশোধন না হওয়ায় ব্যক্তিগতভাবে মনোনয়নপত্র দাখিলের সাত দিন আগে প্রদেয় সরকারি টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি বা অন্য কোনো সেবা প্রদানকারী সংস্থার বিল পরিশোধ করতে ব্যথর্ হলে নিবার্চনে প্রাথীর্ হওয়ার অযোগ্য হবেন।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরপিও সংশোধন কমিটির প্রধান নিবার্চন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘এতে কোনো সমস্যা নেই। কোম্পানির প্রধানরা অনেক সময় ব্যস্ত থাকেন। কেউ কেউ ঘন ঘন বিদেশ যান। এ জন্য এ আইন করা হয়েছে।’ উল্লেখ্য, আগামী ২৩ ডিসেম্বর রোববার সংসদ নিবার্চনের ভোট। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৯ নভেম্বর। যাচাই-বাছাইয়ের দিন ২২ নভেম্বর। প্রাথির্তা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ নভেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ ৩০ নভেম্বর।