রংপুরে বাবু সোনা হত্যা মামলা

প্রধান আসামি কামরুলের কারাগারে আত্মহত্যা

প্রকাশ | ১১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

রংপুর প্রতিনিধি
কামরুল ইসলাম
রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আত্মহত্যা করেছেন রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক ওরফে বাবু সোনা হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলাম। শনিবার ভোরে গলায় চাদর পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন রংপুর কারাগারের জেলার আমজাদ হোসেন। রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আমজাদ হোসেন অন্য বন্দিদের বরাত দিয়ে জানান, কামরুল ইসলাম ভোরে উঠে ওজু করে নামাজ পড়েন। এর আগে তিনি তাহাজ্জুতের নামাজও পড়েছিলেন। এসময় তিনি কঁাদছিলেন। কামরুলের সঙ্গে থাকা অন্য দুই বন্দি নামাজের জন্য অজু করতে গেলে তিনি জানালার রডের সাথে বিচানার চাদর লাগিয়ে গলায় ফঁাস দেন। তার গোঁঙ্গানির শব্দ শুনে অন্য বন্দিরা তাকে উদ্ধার করে জেলারকে খবর দেয়। ভোর ৫টা বেজে ১০ মিনিটের দিকে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভতির্ করানো হয়। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তার মৃত্যু ঘটে। তিনি বলেন, জেলে আসার পর থেকে কামরুল হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। এ থেকেই তার আত্মহত্যার প্রবণতা সৃষ্টি হয়। কামরুলের মৃত্যুর খবর একই কারাগারে থাকা প্রেমিকা স্নিগ্ধা ভৌমিক জানার পর তার কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল তা জানতে চাইলে জেলার আমজাদ হোসেন বলেন, স্নিগ্ধার কোনো প্রতিক্রিয়া ছিল না। জেলার আমজাদ এও বলেন, বন্দি স্নিগ্ধাকে নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। কারণ তিনি প্রায় বলতেন, এ জীবন ভালো লাগে না। আমি আত্মহত্যা করব। তার এ ধরনের কথায় নিরাপত্তার জন্য ওই কক্ষে আরও পঁাচজন পুলিশ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মগের্ পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশ কামরুলের পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হবে। রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. অজয় রায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালের আনার কিছুক্ষণ পরেই কামরুল মারা যান। উল্লেখ্য, চাঞ্চল্যকর অ্যাডভোকেট বাবু সোনা হত্যা মামলাটি রংপুর জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছিল। মামলার অপর আসামি নিহত বাবু সোনার স্ত্রী কামরুলের প্রেমিকা স্নিগ্ধা সরকার ওরফে দীপা জেল হাজতে রয়েছে। গত ২৯ মাচর্ রাতে বাবু সোনাকে ১০টি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।