চট্টগ্রামে ‘স্বতন্ত্র’ জামায়াতের আসনভিত্তিক ৫ কমিটি

প্রকাশ | ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
অস্তিত্ব রক্ষায় মরিয়া একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অভিযোগে অভিযুক্ত ও নিবন্ধন বাতিল হওয়া রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এরপরও ‘স্বতন্ত্র’ প্রাথীর্র মোড়কে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে অংশ নিতে চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রাথীর্ও চ‚ড়ান্ত করেছে দলটি। স্বতন্ত্র প্রাথীর্ হিসেবে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিবার্চনী মাঠে কাজ করছে জামায়াত। আর এ নিবার্চন পরিচালনার জন্য প্রতিটি সংসদীয় আসনে পঁাচ স্তরে কমিটি করে পুরোদমে কাজ শুরু করছে দলটির নেতারা। সম্প্রতি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার জামায়াত-শিবিরের নেতাকমীের্দর জিজ্ঞাসাবাদে ও অভিযানে জব্দ করা অসংখ্য নথিপত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই জানা গেছে। সূত্র বলছে, নিবার্চন পরিচালনার জন্য জামায়াতের করা এসব কমিটিতে রয়েছেন জামায়াত নেতা, ছাত্র প্রতিনিধি, শ্রমিক প্রতিনিধি, মহিলা প্রতিনিধি ও ছাত্রী প্রতিনিধি। এ ছাড়া ১০১, ৫১ ও ১১ সদস্যের এসব কমিটিতে রাখা হয়েছে স্থানীয় জামায়াতের আমির, জামায়াতসমথির্ত নিবাির্চত জনপ্রতিনিধি-উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদেরও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিএমপির একজন উপ-পুলিশ কমিশনার পদমযার্দার কমর্কতার্ বলেন, নিবার্চন ও সাংগঠনিক কাযর্ক্রম নিয়ে জামায়াতের পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন নথি আমাদের হাতে এসেছে। তাদের বিভিন্ন পরিকল্পনাসহ তথ্য সেখানে রয়েছে। নিবার্চন কাজে তারা বিভিন্ন কমিটি করেছে বলে নথিতে উল্লেখ রয়েছে। পুলিশ সূত্র জানায়, স্বতন্ত্র কৌশলে নিবার্চনে অংশ নিতে চাওয়া জামায়াতের করা পঁাচ স্তরের কমিটিগুলো হচ্ছে- আসন কমিটি, উপজেলা-থানা নিবার্চন কমিটি, পৌরসভা-ইউনিয়ন-ওয়াডর্ কমিটি, ভোট কেন্দ্র কমিটি এবং গ্রাম-মহল্লা কমিটি। এ ছাড়া নিবার্চন পরিচালনার জন্য তহবিলও গঠন করা হয়েছে। এ তহবিল গঠনে নিয়মিত তোলা হচ্ছে বায়তুল মাল ও বিশেষ নিবার্চনী বায়তুল মাল। করা হয়েছে নিবার্চনী ক্যাশবুকও। কমর্কতার্রা জানান, ভিন্ন ভিন্ন সংগঠনের আড়ালে নিয়মিত প্রচার-প্রচারণার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত রয়েছে দলটির। নিবার্চনের আগে জামায়াত নেতারা নিয়মিত ছাত্র ও যুব সমাবেশ, মহিলা ও ছাত্রী সমাবেশ, বাজারভিত্তিক শ্রমিক সমাবেশ ও পুরুষ সমাবেশ করার পরিকল্পনা করেছেন। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, জামায়াতের কাযর্ক্রম পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে। তাদের বেশ কয়েকজন নেতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। নিবার্চনকে কেন্দ্র করে নাশকতামূলক কোনো কমর্কাÐ যাতে তারা করতে না পারে সেদিকে নজর রয়েছে তাদের। তিনি বলেন, শুধু জামায়াত-ই নয়, নিবার্চনকে কেন্দ্র করে কাউকে-ই অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির সুযোগ দেয়া হবে না।