দুনীির্তবাজদের থেকে ২৭৪ কোটি টাকা আদায় দুদক চেয়ারম্যান

প্রকাশ | ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ০০:৩২

যাযাদি রিপোটর্
পঁাচ বছরে বিভিন্ন মামলায় সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও জরিমানা বাবদ দুনীির্তবাজদের কাছ থেকে ২৭৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পযর্ন্ত অথর্ আদায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন দুনীির্ত দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। মঙ্গলবার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত ইউনাইটেড ন্যাশনস কনভেনশন অ্যাগেইনস্ট করাপশন (আনকাক)-এর দ্য ইমপ্লিমেন্টেশন রিভিউ গ্রæপের এক অনুষ্ঠানে ইকবাল মাহমুদ এ কথা বলেন। দুদকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আনকাকের ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দলের প্রধান ইকবাল মাহমুদ বিভিন্ন পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বলেন, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পযর্ন্ত দুদক দুনীির্তর সুনিদির্ষ্ট অভিযোগে ১৮৯টি মামলা করেছে এবং ২২৩টি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। দুদকের কমর্কাÐ মূল্যায়ন করে তিনি বলেন, ২০১১ সালে যেখানে দুদকের মামলায় বিচারিক আদালতে সাজার হার ছিল ২০ শতাংশ, ২০১৭ সালে তা ৬৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন, অথর্পাচার মামলার ক্ষেত্রে এই সাজার হার শতভাগ। ২০১৫ সাল থেকে এ পযর্ন্ত অথর্পাচার সংক্রান্ত ২৩টি মামলার রায় হয়েছে, যার প্রতিটি মামলায় আসামিদের সাজা হয়েছে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পযর্ন্ত আদালতের নিদেের্শ কমিশনের বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্তদের ৭১ কোটি ৫২ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একইভাবে ২০২ কোটি ৭৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পযর্ন্ত দুনীির্ত ও অথর্পাচারের ৫৫০টি মামলায় আদালতে সাজা হয়েছে। দুনীির্তর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শূন্য সহিষ্ণুতার নীতির কথা উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদকের আইনি ম্যান্ডেট অনুসারে স্বাভাবিক অনুসন্ধান ও তদন্তের পাশাপাশি দুনীির্ত দমন ও প্রতিরোধে বহুমুখী উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ বছরে ১৫টি ফঁাদ মামলা পরিচালনা করে ঘুষ নেয়ার সময় ১৮ জন সরকারি কমর্কতার্-কমর্চারীকে হাতেনাতে ঘুষের টাকাসহ গ্রেপ্তার করেছে দুদক। দুদকের ২৫টি প্রাতিষ্ঠানিক টিমের কাযর্ক্রম ব্যাখ্যা করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদক সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুনীির্তর উৎস চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে পদ্ধতিগত সংস্কারের মাধ্যমে হয়রানি ও দুনীির্তমুক্ত পরিবেশে সরকারি পরিসেবা নিশ্চিত করতে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় পরামশর্ দিচ্ছে। ইতোমধ্যেই কমিশন ভূমি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সড়ক ও জনপথ মন্ত্রণালয়, রাজধানী উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ (রাজউক), জাতীয় গৃহায়ন কতৃর্পক্ষ, আয়কর বিভাগ ও কাস্টমস বিভাগে তাদের বিজনেস প্রসেস রি-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অংশহিসেবে দুনীির্তর সম্ভাব্য উৎস চিহ্নিত করে, তা বন্ধে সুনিদির্ষ্ট সুপারিশমালা পাঠিয়েছে। ১২ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পযর্ন্ত অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় চলমান আনকাক সম্মেলনে বাংলাদেশের তিন সদস্যের একটি উচ্চ পযাের্য়র প্রতিনিধি দল অংশ নিচ্ছে।