বণার্ঢ্য আয়োজনে চারুকলায় নবান্ন উৎসব শুরু

প্রকাশ | ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
বৃহস্পতিবার পয়লা অগ্রহায়ণ, সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ‘জাতীয় নবান্ন উৎসব ১৪২৫’। সকাল ৭টা ১ মিনিটে উৎসবের উদ্বোধন করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নবান্ন উৎসব উদযাপন পষের্দর চেয়ারম্যান লায়লা হাসান। পরে বের হয় একটি বণার্ঢ্য শোভাযাত্রা। নেচে-গেয়ে উচ্ছ¡াস প্রকাশ করেন শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা। জাতীয় নবান্ন উৎসবে বকুলতলার মঞ্চে নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তিসহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নবান্ন উৎসব উপলক্ষে পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছিল আয়োজকরা। হরেক রকমের পিঠা, মুড়ি-মুড়কি ছিল চারুকলার নবান্ন উৎসবে। আয়োজকরা বলছেন, নবান্ন উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সহায়তা করেছে। তবে প্রত্যাশিত সহযোগিতা পাওয়া যায়নি চারুকলা অনুষদ থেকে। অন্যদিকে বেলা ১১টার দিকে চারুকলার সামনের ফুটপাতে বসা পিঠার বিভিন্ন স্টল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অনুমতি না থাকায় সড়কের পাশে বসতে দেয়া সম্ভব নয়। উৎসবের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পযর্ন্ত নবান্নের শিশু প্রহর ঘোষণা করা হয়েছে । বিভিন্ন শিশু সংগঠন এ সময় নানা পরিবেশনায় অংশ নেবে। উৎসব প্রাঙ্গণে দিনভর চিত্রাঙ্কনে অংশ নেবে শিশুরা। তাদের অঁাকা ছবিগুলো নিয়ে উৎসবে প্রদশর্নী করা হবে। নবান্ন পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক উৎসব। ‘নবান্ন’ শব্দের অথর্ ‘নতুন অন্ন’। অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান কাটা হয়। তাই এই সময়ে পায়েস, পিঠা-পুলি তৈরির ধুম পড়ে যায় কৃষকের ঘরে। নতুন ধানকাটা এবং পিঠা-পুলি তৈরি করায় যে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়, সেটাই নবান্ন উৎসব। ১৯৯৮ সাল থেকে ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে নবান্ন উৎসব উদযাপন শুরু হয়। এরপর থেকে প্রতি বছরই পয়লা অগ্রহায়ণে আয়োজন করা হয় নবান্ন উৎসবের।