খাসলত যায় না ম লে বিএনপিকে নৌমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
শুক্রবার ঢাকা রিপোটার্সর্ ইউনিটিতে এক সভায় বক্তৃতা করেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান Ñযাযাদি
নয়াপল্টনে পুলিশের গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুরের মাধ্যমে বিএনপি পুরনো চেহারায় ফিরেছে উল্লেখ করে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ‘ইল্লত যায় না ধুলে, খাসলত যায় না ম লে।’ শুক্রবার ঢাকা রিপোটার্সর্ ইউনিটির স্বাধীনতা হলে গামের্ন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় এ কথা বলেন তিনি। বিএনপির সমথর্কদের মনোনয়ন ফরম কেনাকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনে দলীয় নেতাকমীের্দর বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে গত ১৪ নভেম্বর পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকমীের্দর সংঘষর্ হয়। ঘণ্টাব্যাপী চলা ওই সংঘষের্ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার মধ্যেই পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দেয়া হয়। সেই সঙ্গে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে নৌমন্ত্রী বলেন, ‘কথায় বলে ‘ইল্লত যায় না ধুলে, খাসলত যায় না ম লে’। আবার তারা (বিএনপি) গাড়ি পুড়িয়েছে। আমার কথা হলো যারা নিবার্চনের মনোনয়নপত্র চাইতে গেলেন, তারা লাঠি পেলেন কোথায়? ‘লাঠি নিয়ে তারা রাস্তায় নেমেছে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে। তারা গাড়িতে আগুন জ্বালিয়েছে। আবার তারা খারাপ একটা অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আমাদের সতকর্ থাকতে হবে। নিবার্চনকে বানচাল করার জন্যই কিন্তু তারা ২০১৪ সালে এমন কমর্কাÐ করেছিল। আবার তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে’ বলেন শাজাহান খান। তিনি বলেন, ‘শ্রমিক, কমর্চারী, পেশাজীবী সব মানুষ, ছাত্র-জনতা আমরা সবাই মিলে এ ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করে একাদশ সংসদ নিবার্চন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করব।’ নৌমন্ত্রী বলেন, ‘নিজে একটা বিল্ডিং করলে, সেই বিল্ডিংয়ের দেয়ালের কোথাও পেরেক ঠুকতে আপনার কষ্ট লাগে। মনে হয় প্রতিটি ঠোকর আপনার হৃদয়ে আঘাত হানছে। আর ভাড়া বাড়িতে পেরেক ঠুকলে আঘাত লাগবে না। ঠিক তেমনি এ দেশ আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি, সে কারণে আমাদের দরদটা বেশি।’ তিনি বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন সামনে। আবার ২০১৩-১৪ সালের মতো ঘটনা ঘটানোর জন্য বিএনপি-জামায়াতে এগিয়ে চলেছে। ভোট ঠেকানোর জন্য ২০১৪ সালে রেলগাড়ি পোড়ানো, বাস পোড়ানো, লঞ্চে আগুন দেয়াসহ তারা নানা ধরনের নাশকতা করেছিল। কিন্তু নিবার্চন ঠেকাতে পারেনি।’ শাজাহান খানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, গামের্ন্টস শ্রমিক নেতা আমিনুল হক আমিন, আবুল হোসেন, কামরুল আলম, বাবুল আক্তার, নুরুল ইসলাম, আবুল শিকদার, জাহানারা, শারমিন শিউলি, ইয়াসমিন প্রমুখ।