হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির বাসা

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
বাবুই পাখির বাসা
কবি রজনীকান্ত সেন লিখেছিলেনÑ‘বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই/ কুঁঁড়ে ঘরে থেকে করো শিল্পের বড়াই/ আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে, তুমি কত কষ্ট পাও রোদ বৃষ্টি ঝড়ে।’ কবির কালজয়ী এ ছড়ায় বলা বাবুই পাখির আবাস সমৃদ্ধ তালগাছ আজকাল তেমন চোখে পড়ে না। দেখা মেলে না সদা চঞ্চল নিষ্ঠাবান বুনন শিল্পী বাবুই পাখিরও। গ্রাম বাংলার মাঠের ধারে, পুকুর কিংবা মাঠের পাড়ে সৈনিকের মতো একপায়ে দঁাড়িয়ে থাকা তালগাছ হারিয়ে গেছে ইটভাটার আগ্রাসনে। তেমনি হারাতে বসেছে প্রকৃতির শিল্পী পাখির ভোরবেলার কিচিরমিচির সুমধুর ডাকাডাকি আর উড়াউড়ি। মূলত তালগাছে বাসা বঁাধতেই বেশী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে বাবুই পাখি। কিচিরমিচির শব্দে মাঠে প্রান্তরে উড়ে উড়ে খড়কুটো সংগ্রহ করে তালগাছে বাসা বঁাধে তারা। কঠোর শ্রম সাধনায় বাবুই পাখিদের বাসা যেমন দৃষ্টিনন্দন, তেমনি লাগসই। যে খড়কুটোর বাসা প্রবল ঝড়েও টিকে থাকত। পরিবেশ বিপযের্য়র ধাক্কায় জীববৈচিত্র্যে এ পরিবতর্ন। যদি বাসা ও খাদ্য ব্যবস্থা না থাকে তাহলে ওরা তো হারিয়ে যাবেই। সিরাজগঞ্জের চলনবিল এলাকার হরিপুর ইউনিয়নের আগশুয়াইল গ্রামটি এলাকায় তালগ্রাম নামে পরিচিত। স¤প্রতি সেই গ্রামটিতে তালগাছ দেখতে গিয়ে বাবুই পাখির বাসার দেখা মিলল। ওই গ্রামের বেশকিছু তালগাছে বাবুইর বাসা ঝুলছে। গ্রামের তালেব আলী বলেন, এ গ্রামে আরও অনেক তালগাছ ছিল। দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। আশপাশে ইটভাটা হইছে।