ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা

আকর্ষণীয় অফারেও মিলছে না ক্রেতা

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
স্টলে পণ্য দেখছেন মেলায় আসা দর্শনার্থীরা -যাযাদি
দর্শক ও ক্রেতা টানতে শুরুর ১১তম দিনে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ব্যবসায়ীরা দিয়েছিলেন আকর্ষণীয় অফার। একই সঙ্গে পূর্বাচলে মেলা সফল করতে সব রকম চেষ্টা করে যাচ্ছে রপ্তানি উন্নয়ন বু্যরো (ইপিবি)। গত সপ্তাহে সমাগমও হয় বেশ। বিক্রিও চলছিল ভালো। কিন্তু সপ্তাহ না পেরোতেই কমে গেছে দর্শনার্থী ও ক্রেতা। আশানুরূপ বিক্রি না হওয়ায় বিক্রেতাদের দিন কাটছে হতাশায়। তবে কোনো কোনো বিক্রেতারা জানিয়েছেন বিক্রি নয়, পণ্যের প্রচারণার জন্যই তারা মেলায় অংশ নিয়েছেন। শনিবার রাজধানীর পূর্বাচলে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী আয়োজিত বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। ব্যবসায়ীরা জানান, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর তাদের বিক্রি খুবই কম। এর প্রধান দুটি কারণও রয়েছে। একটি হলো- দূরত্ব বিবেচনায় অনেকেই এ বছর মেলায় আসেননি। স্থানীয়দের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে মেলাকে ঘিরে। অন্যটি হচ্ছে করোনাভাইরাসের প্রভাব। মেলায় অংশগ্রহণ করেছে রিগ্যাল ফার্নিচার। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার আবু সাঈদ গণমাধ্যমকে বলেন, অন্য বছরের তুলনায় অন্তত ১০ শতাংশ বিক্রি নেই। এটা দূরত্বের কারণেই। কেননা অনেকেই এতদূরে মেলায় আসতে চান না। এজন্য বিক্রি কমেছে। মেলায় আশানুরূপ বিক্রি নেই বলে জানালেন ব্রাদার্স ফার্নিচারের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ সেলস অফিসার তারিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের স্পেস কম, আশানুরূপ স্পেস পাইনি। এ ছাড়া আমাদের ক্রেতা রাজধানী ভিত্তিক, সেই তুলনায় বিক্রি নেই। বেচাবিক্রি আগের মতো না থাকলেও গত দুদিন ধরে একটু ভালো বলে জানালেন কাশ্মিরী শাল হাউসের জাহিদ হাসান। তিনি গণমাধম্যকে বলেন, আমাদের আশানুরূপ বিক্রি নেই। ভিড় হচ্ছে মেলায়, তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম। অবশ্য মেলায় যমুনার প্রিমিয়াম স্টলের চিত্র দেখা গেছে একবারেই ভিন্ন। ক্রেতাসাধারণের জন্য মেলা উপলক্ষে আকর্ষণীয় অফার দেওয়া হয়েছে। তাদের মার্কেটিং বিভাগের পরিচালক সেলিম উলস্নাহ সেলিম গণমাধ্যমকে বলেন, বাণিজ্য মেলা ক্রেতা-দর্শনার্থীদের এক মিলনমেলা। ক্রেতাদের চাহিদার দিকে নজর রেখে যমুনা লোভনীয় সব অফারের নিয়ে এসেছে। শুধু তা-ই নয়, সারা দেশে যমুনা পণ্যের অগণিত ক্রেতার কথা মাথায় রেখে দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা যমুনা পস্নাজা ও অনলাইন স্টোরেও এসব অফার মেলা চলাকালে থাকবে। এ ছাড়া ক্রেতাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে তিনটি আকর্ষণীয় বান্ডেল অফারে থাকছে ঘর সাজানোর প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী, ফ্রিজ, স্মার্ট এলইডি টিভি ও মাইক্রো ওভেনের সমন্বয়ে এ বান্ডেল অফারটি ক্রেতা ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই পেয়ে যাবেন।' কেরানীগঞ্জ থেকে মেলায় ঘুরতে এসেছেন মো. আল আমিন। সঙ্গে ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরাও। তিনি বলেন, এ নিয়ে তারা এ বছর দুইবার মেলায় এসেছেন। তবে তেমন কোনো কেনাকাটা তারা করেননি। মূলত তারা ঘুরতেই এসেছিলেন। মেলায় আসা আরেক দর্শনার্থী কবির হোসেন বলেন, করোনার কারণে এবার মেলায় আসার ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু বন্ধুজন ও পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে আসা। মেলা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দর্শনার্থী ভিড় করেন বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের (বিবিসিএফইসি) সামনে উন্মুক্ত স্থানে। সেখানে আড্ডা দেওয়া ও ছবি তোলায় ব্যস্ত সময় পার করেন অনেকেই। এ ছাড়া এর আশপাশের ফাঁকা স্থানগুলোয়ও মানুষের জটলা দেখা গেছে। এবারের বাণিজ্য মেলায় ১১ দেশের ২২৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল এবং ১৫টি খাবারের দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।