মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে অধিদপ্তরের ভবন নির্মাণ না করার দাবি

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানী ঢাকার বকশীবাজারে অবস্থিত সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া ক্যাম্পাসে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ভবন নির্মাণ না করার দাবি জানিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। মাদ্রাসা-ই-আলিয়া ঢাকার প্রাক্তন ছাত্র ফোরামের ব্যানারে রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আহূত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। 'সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া ঢাকাকে ধ্বংসের চক্রান্তেরও অভিযোগ করেন মাদ্রাসার প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। তারা 'মাদ্রাসার ২৫০ বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষাকল্পে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে 'ঢাকা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়' করারও দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বলেন, 'সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া ঢাকার ছাত্রাবাসসহ এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরিবর্তে ওই প্রতিষ্ঠানের ভেতর কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ভবন স্থাপন করার পরিকল্পনা সরকারের দ্বিমুখী আচরণ ও মাদ্রাসা শিক্ষা অবজ্ঞা করার শামিল।' সংবাদ সম্মেলনে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- সরকারি মাদ্রাসা -ই-আলিয়া ঢাকার জমিতে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভবন স্থাপনের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল, মাদ্রাসার চার একর জমি দখলমুক্ত করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনকল্পে কমপক্ষে আরও দুটি আবাসিক হল নির্মাণের কাজ অবিলম্বে শুরু করা, বর্তমান ছাত্রদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে ছাত্রাবাস অবিলম্বে খুলে দেওয়া এবং মাদ্রাসার ২৫০ বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষাকল্পে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে 'ঢাকা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়' হিসেবে ঘোষণা করে কার্যক্রম শুরু করা। সংগঠনের আহ্বায়ক আজিজুল হক বলেন, 'আমরা প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ভবন আলাদা স্বতন্ত্র কোনো স্থানে হতে পারে। এটি কোনোভাবেই একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাসের প্রাচীরের ভেতর হতে পারে না। এই সিদ্ধান্ত শুধু অমানবিক নয়, অনৈতিক এবং ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উচ্চশিক্ষার বিদ্যাপীঠকে অবজ্ঞা, অবহেলা ও তিলে তিলে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার এক গভীর চক্রান্ত ও নীলনকশার অংশ।' সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এবং দাবিসমূহ উত্থাপন করেন সংগঠনের সদস্য সচিব মোহাম্মদ সুরুজ্জামান। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সদস্য ইসমাইল ফারুক, আজিজুল হক, আহমেদ আবদুলস্নাহ, শহিদুল ইসলামসহ বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।