দেশে বঙ্গবন্ধুর নিষিদ্ধ করা মদ-জুয়া আবার চালু করেন জিয়া :তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডক্টর হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে মদ-জুয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেটি চালু করেছিলেন। বাংলাদেশের আলেমদের শতবর্ষী দাবি ছিল, দেশে একটি ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। কওমি মাদ্রাসার দাবি ছিল স্বীকৃতি পাওয়া। তাদের সনদের নামে মুলা ঝুলিয়ে রাখেন এরশাদ, খালেদা জিয়া, জিয়াউর রহমান সবাই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সে দাবি পূরণ করেছেন। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতির উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রেষ্ঠ পুরস্কার-২০২১ প্রদানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডক্টর হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা নির্বাচন এলে ধর্মকে ব্যবহার করি না। ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াত। তারা ধর্মকে ব্যবহার করে ভারতবিরোধী সেস্নাগান দিয়ে নির্বাচন করে। কিন্তু তারা ধর্মের জন্য কিছু করেনি। বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় সরকারি উদ্যোগে একটি করে মসজিদ হবে, এটা কখনো কেউ ভাবেনি। প্রধানমন্ত্রী সেটি বাস্তবায়ন করেছেন। দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর সারা বাংলাদেশে মসজিদভিত্তিক মক্তব চালু করেছেন। সেখানে আলেমরা ভাতা পাচ্ছেন। এটা আগে কেউ ভাবেনি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাহাজ্জুদ ও ফজরের নামাজ দিয়ে দিন শুরু করেন। তিনি একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। শুধু ইসলাম ধর্মের জন্যই নয়, তিনি সব ধর্মের মানুষের জন্যই কাজ করেন। নির্বাচন এলে ইসলামের কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার দিন শেষ হয়ে গেছে।' করোনা মোকাবিলা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের সরকারের নেতৃত্বে দেশ যেভাবে করোনা মোকাবিলায় এগিয়ে যাচ্ছে, অনেক দেশই সেটা পারেনি। আমরা যখন টিকা কার্যক্রম শুরু করি, তখন আমেরিকা থেকে মানুষ এসে আমাদের দেশে টিকা নিয়েছে। অনেকেই তখন বলেছিল, এই টিকা কাজ করবে না। কিন্তু তারাই গোপনে গিয়ে টিকা নিয়েছে। মির্জা ফখরুল ও জাফরুলস্নাহ সাহেব টিকা নিয়েছেন।' নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি হিসেবে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডক্টর আব্দুল আজিজ, ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুলস্নাহ, নারায়ণগঞ্জ জেলা কোরআনের সুরের আহ্বায়ক মো. আনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন বিষয়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা।