মাঘ মাসে হঠাৎ বৃষ্টি

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

ম বিশেষ প্রতিনিধি
সকাল থেকেই আকাশ ছিল গুমোট। কুয়াশার আড়ালে থাকা সূর্য তার তেজ দেখাতে পারেনি। উজ্জ্বল ঝলমলে অপূর্ব রোদের দেখা মেলেনি। দুপুর গড়াতে না গড়াতেই শেষ বিকালে ঢাকায় আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে অঝোর ধারায়। বৃষ্টিতে জবুথবু রাজধানীর মানুষ। একই সঙ্গে শীতের আমেজ উপভোগ করেন নগরবাসী। হঠাৎ ঝুম বৃষ্টিতে স্নিগ্ধ হয়ে ওঠে ঢাকা। তবে অফিসফেরত ও খেটে খাওয়া মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। যেনো মাঘ মাসে পাওয়া গেল ভরা বর্ষার আমেজ। খনার বচনে আছে, যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্য রাজার পুণ্য দেশ। অর্থাৎ মাঘের শেষের বৃষ্টিপাতে রাজা ও দেশের জন্য কল্যাণকর। বাংলা পঞ্জিকার মতে, মাঘের দ্বিতীয় সপ্তাহ চলছে। এই সময় মাঠে বৃষ্টি কৃষকের জন্য আশির্বাদ। বোরো চাষিদের সেচ খরচ কমিয়ে দিয়েছে বৃষ্টি। মাঠে থাকা আলু ও পেঁয়াজ বাদে অন্য সব ফসলের উপকার হয়েছে। রসুন, সরিষা, ভুট্টা, গম ও ডাল জাতীয় সব ফসলের জন্য বৃষ্টি উপকারী হিসেবে ঝড়েছে। বাংলাদেশের কৃষি পুরো প্রাকৃতিক-নির্ভর। মাঘের বৃষ্টিতে বোরো চাষি কৃষকরা ব্যাপক খুশি হয়েছেন। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক যায়যায়দিনকে বলেন, মাঘের বিকালে ঢাকায় আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয় সারাদেশেই। আগামী দুইদিন এভাবে হঠাৎ বৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ২৮-৩০ জানুয়ারির মধ্যে দেশের কয়েকটি অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এরপর আবার কয়েক দিন বৃষ্টি হতে পারে। গত রোববার থেকে রাজধানীতে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। দক্ষিণ-পশ্চিমের হিমেল হওয়া আর বৃষ্টি বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের অনুভূতি। দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বিহার হয়ে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলাদেশের পশ্চিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যা আরও দু-এক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।