নীলফামারীতে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ৪, আহত ৫ জন

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

ম স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী
এক মাস আঠারো দিনের মাথায় বুধবার সকাল ৭টায় আবারও নীলফামারীতে ট্রেনের ধাক্কায় ৪ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন। এ চারজন নারী শ্রমিকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজন নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল ও দুইজন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বুধবার সকাল ৭টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি চিলাহাটী অভিমুখে যাচ্ছিল। এ সময় চারদিক ছিল ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন। ঠিক এই সময় অটোবাইকটি আটজন যাত্রী নিয়ে নীলফামারী দারোয়ানী রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন একটি অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হচ্ছিল। এতে ট্রেনের ধাক্কায় বাইকটি যাত্রী নিয়ে রেললাইন থেকে প্রায় ২০ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান নারী শ্রমিক সেফালী বেগম (৪২)। তিনি সদর উপজেলার সোনারায় ধনীপাড়া এলাকার আশরাফ আলীর স্ত্রী। নিহত অন্যরা হলেন একই এলাকার মোশারফ আলীর স্ত্রী রোমানা বেগম (২৫), আলতাফ হোসেনের স্ত্রী মিনা পারভীন (২২) ও বেলাল হোসেনের স্ত্রী সাহেরা বেগম (৩২)। নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. কাজী আব্দুল মোমিন জানান, হাসপাতালে আসা আটজন রোগীর মধ্যে সাহেরা বেগম ও রোমানা বেগম হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। ভর্তি পাঁচজনের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যেও মিনা পারভীন মারা যান। নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন সোনারায় এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে অহিদুল ইসলাম (২৮), নজরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা (২৭), অটোবাইক চালক আপন (২৮) এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন সায়েদ আলীর স্ত্রী কুলসুমা বেগম (৩০) ও গোলাম মোস্তফার স্ত্রী নাসরীন আক্তার (৩৫)। নীলফামারী ফায়ার স্টেশন ইনচার্জ নিয়ারাজ হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রম্নত ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহমান বিশ্বাস বলেন, এ দুর্ঘটনার ব্যাপাওে সৈয়দপুর রেলওয়ের পিডবিস্নউ সুলতান আহমেদ বাদী হয়ে রেল থানায় একটি অপমৃতু্যর মামলা দায়ের করেছেন। নিহত স্বজনদের আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। উলেস্নখ্য, এর আগে গত বছরের আট ডিসেম্বর সোনারায় ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী কুন্দুপুকুর ইউনিয়নের বউবাজারে অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে একই পরিবারের তিন শিশুসহ চারজন নিহত হয়। সৈয়দপুর চিলাহাটী ৫২ কিলোমিটার রেলপথে ৩৬টি রেল ক্রসিংয়ের মধ্যে তিনটি অবৈধ ও ২১টি অরক্ষিত। এসব রেলপথে গেট ও গেটম্যান না থাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। অকালেই ঝরছে তরতাজা প্রাণ।