মেট্রোরেলের পুরো কাঠামো দৃশ্যমান

প্রকাশ | ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পিলারের ওপর মেট্টোরেলের শেষ ভায়াডাক্ট বসানোর মধ্যদিয়ে দৃশ্যমান হলো মূল কাঠামো। মেট্টোরেল চালু হলে মাত্র ৩৯ মিনিটে রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল যাওয়া যাবে -ফোকাস বাংলা
আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বহুল প্রত্যাশিত মেট্রোরেলের কাজ। করোনার অভিঘাতের মধ্যেও সব প্রতিকূলতাকে ডিঙ্গিয়ে চলতি বছরই মেট্রোরেল যাত্রা শুরু করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। বৃহস্পতিবার ঢাকার উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত নির্মাণাধীন মেট্রোরেলের ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার পথে ভায়াডাক্ট ১ বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে পুরো অংশের নিরবচ্ছিন্ন কাঠামো দৃশ্যমান হলো। এদিন বেলা সোয়া ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কাছে ৫৮২ ও ৫৮৩ নম্বর পিয়ারের মধ্যে ভায়াডাক্টের শেষ অংশটি বসানো হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ভায়াডাক্ট বসানোর কাজ শেষ হওয়ার বিষয়টি জানান। তিনি জানান, ২০১৭ সালের ১ আগস্ট প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা শুরু করা হয়। ওই অংশে গত বছরের ২৮ ফেব্রম্নয়ারি ভায়াডাক্ট বসানোর কাজ শেষ হয়। ২০১৮ সালের ১ আগস্ট আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৮ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার মেট্রোরেলের দ্বিতল সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি এ অংশের সর্বশেষ সেগমেন্ট যুক্ত করে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার মেট্রোরেলের ভায়াডাক্ট বসানোর কাজ সম্পন্ন হলো। এম এ এন ছিদ্দিক জানান, সব ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে ট্রেন চলাচল শুরু করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাবে ট্রেন। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল পথে ১৬টি স্টেশন থাকবে। এর মধ্যে অধিকাংশ রেল স্টেশন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। মেট্রো ট্রেন ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহন করতে পারবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র ৩৯ মিনিট। পিয়ারগুলোতে কংক্রিটের যে কাঠামো বসিয়ে যোগসূত্র তৈরি করা হয়, তাকে বলে ভায়াডাক্ট। এর ওপরই বসবে রেললাইন, তার ওপর দিয়ে চলবে মেট্রো ট্রেন।