কমেছে ব্যানার-পোস্টার, মুছে ফেলা হচ্ছে দেয়াল লিখন

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
পোস্টার অপসারণ করা দেয়াল
‘ভাইরে কইছিলাম, কত কষ্ট কইরা পোস্টার লাগাইছি, কার এত্তো বড় সাহস পোস্টার ছিঁড়ে, অর হাড্ডিগুড্ডি ভাইঙা দিমু না’। কিন্তু ভাই কইলো ‘অই বেডা তোরা কী ইলেকশন করতে দিবি না, পোস্টার থাকলে নিবার্চন কমিশন শাস্তি দিব।’ ‘ভাইয়ের মুখে এ কথা হুইনা আমরা চুপ মাইরা গেছি। সিটি করপোরেশনের লোকেরা কাইলও (সোমবার) সারাদিন পোস্টার ছিঁড়ছে, দেয়ালের লেখা মুইছা দিছে। চাইয়া চাইয়া খালি দেখছি।’ এমন মন্তব্য আসন্ন জাতীয় সংসদ নিবার্চনে অংশগ্রহণেচ্ছু পুরান ঢাকার এক প্রাথীর্র ক্ষেপাটে সমথের্কর। মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টায় লালবাগের পলাশী মোড়ে দঁাড়িয়ে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি ওই মন্তব্য করেন। আলাপকালে তিনি আরও বলেন, ‘ভাইয়ের পোস্টারে পুরা এলাকা ছাইয়া ফালাইছিলাম। অহন পোস্টার ছিঁড়তে দেইখ্যা মনডা খারাপ লাগতাছে।’ নিবার্চন কমিশনের (ইসি) নিদের্শনা অনুযায়ী রোববার রাত ১২টার মধ্যে সব নিবার্চনী প্রচারসামগ্রী সরিয়ে ফেলার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার পযর্ন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার-ব্যানারসহ অন্যান্য নিবার্চনী প্রচারসামগ্রী চোখে পড়ে। তবে সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার অপেক্ষাকৃত কম সংখ্যক পোস্টার, ব্যানার ও দেয়াল লিখন চোখে পড়ে। সরেজমিন দেখা গেছে বিভিন্ন এলাকার দেয়ালে পোস্টার, ব্যানার ও দেয়াল লিখন না থাকলেও একটু উঁচুতে টাঙানো পোস্টার ও ব্যানার এখনো রয়ে গেছে। সংসদ নিবার্চনে আগ্রহী প্রাথীর্ ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন পযাের্য়র নেতাদের পোস্টার বেশি দেখা গেছে। সে তুলনায় বিরোধী দলের নেতাদের পোস্টার-ব্যানারের সংখ্যা কম। ইসির নিদের্শ অনুযায়ী ১৮ নভেম্বর রাত ১২টার মধ্যে মাকের্ট, রাস্তাঘাট, যানবাহন ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাসহ অন্যান্য জায়গায় যাদের নামে পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার, ফেস্টুনসহ প্রচারসামগ্রী রয়েছে তাদেরকে এবং যেসব ব্যক্তি বা যৌথ মালিকানাধীন ভবন, প্রতিষ্ঠান, মাকের্ট, যানবাহন ও স্থাপনায় প্রচারসামগ্রী রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠান ও মালিকদেরও স্ব স্ব উদ্যোগে এবং নিজ খরচে তা অপসারণ করতে হবে। এ ছাড়া এ বিষয়ে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাসহ বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নিদের্শ দেয়া হয়েছে। উল্লিখিত সময়ের মধ্যে ইসির নিদের্শ প্রতিপালন করা না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছে ইসি। সংসদ নিবার্চনের আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী প্রাথীের্ক এ আদেশ প্রতিপালন না করার কারণে কারাদÐ এবং জরিমানা করার বিধান রয়েছে। আর ইসি চাইলে এই অপরাধের জন্য যে কারও প্রাথির্তা বাতিলেরও ক্ষমতা রাখে।