স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসার জনবল ও বেতন কাঠামো নীতিমালা জারি

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
অবশেষে প্রাথমিক শিক্ষকের সমমান দিয়ে স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের জন্য বেতন কাঠামো সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগ। গত ১৮ নভেম্বর স্বাক্ষরিত নীতিমালাটি মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়। নীতিমালায় জনবল কাঠামো ও শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে বলা হয়েছে, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় প্রধানসহ চারজন শিক্ষক থাকবেন। এদের মধ্যে একজন এতবেদায়ি প্রধান, দুইজন এবতেদায়ি সহকারী শিক্ষক এবং এবতেদায়ি ক্বারী শিক্ষক একজন। এবতেদায়ি প্রধান ১১তম গ্রেডে বেতন পাবেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) ১১তম গ্রেডে বেতন পান। সেই হিসেবে ইবতেদায়ি শিক্ষকরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমান মযার্দা পাচ্ছেন। বতর্মানে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন শুরু ১৪তম গ্রেডে। এটি আরও বাড়ানোর জন্য দাবি জানাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। তবে সমমান বা মযার্দার কথা বলা হলেও বেতন কাঠামোতে প্রাথমিক শিক্ষকদের সমান বেতন বিবেচনা করা হয়নি ইবতেদায়ি শিক্ষকদের জন্য করা নীতিমালায়। নতুন এই নীতিমালা অনুযায়ী, ইবতেদায়ির সহকারী এবং ক্বারী শিক্ষকরা বেতন পাবেন ১৬তম গ্রেডে। তবে সরকারি প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম বিএ পাসকে বিবেচনা করে ইবতেদায়ি মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও আলিম পাস এবং ক্বারী শিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতা হবে আলীম বা এসএসসি সমমান (বিজ্ঞান) করা হয়েছে। এছাড়া, এবতেদায়ি শিক্ষকদের বেতন কাঠামোর আওতায় নেয়া হলেও সরকারি অন্যান্য সুযোগ সুবিধার কথা বলা নেই নীতিমালায়। শুধু বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের আদলেই তারা সরকারি বেতন-ভাতা গ্রেড অনুযায়ী প্রাপ্য হবেন। বতর্মানে ইবতেদায়ি প্রধান শিক্ষকরা দুই হাজার ৫০০ টাকা এবং সহকারী শিক্ষকরা দুই হাজার ৩০০ টাকা সরকারি অনুদান পাচ্ছেন। নীতিমালা অনুযায়ী, এবতেদায়ি শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। উপজেলা এবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিটির মাধ্যমে শিক্ষকরা নিয়োগ পাবেন। প্রধান শিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে ফাজিল পাস বা স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমমান ডিগ্রি। সহকারী শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে আলিম পাস। সহকারী ক্বারী শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে আলিম (বিজ্ঞান) অথবা এইচএসসি (বিজ্ঞান)। শিক্ষক নিয়োগে প্রবেশ বয়স হতে হবে ৩৫ বছর। তবে ইনডেক্সধারী হলে বয়স শিথিলযোগ্য। ইবতেদায়ি মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনায় থাকবে ম্যানেজিং কমিটি বা অগার্নাইজিং কমিটি। স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসার অনুমোদন নিতে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোডের্র অনুমোদন প্রয়োজন হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোডর্ পাঠদানের অনুমতি ও একাডেমিক স্বীকৃতি দেবে। শতর্পূরণ করে দুই বছর শেষে আবেদন করা যাবে। পাঠদানের অনুমতি পাওয়ার চার বছরের মধ্যে একাডেমিক স্বীকৃতি না পেলে পাঠদানের অনুমোদন বাতিল হয়ে যাবে। একাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়ার পর শিক্ষকরা বেতন-ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।