বিচারকের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিলেন সিইসি

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
সিইসি কেএম নুরুল হুদা
নিবার্চনী কাজে বিচারকদের দৃশ্যমান হয়ে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের তাগিদ দিয়েছেন প্রধান নিবার্চন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা। একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন উপলক্ষে ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির সদস্যদের ব্রিফিংয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন শত শত অভিযোগ পাই। কিন্তু অভিযোগগুলো আমাদের কাছে আসার কথা না, কারণ আপনারা সেখানে রয়েছেন। আমরা অভিযোগগুলো আপনাদের কাছে পাঠিয়ে দেব। কিন্তু প্রয়োজন ছিল, অভিযোগগুলো সরাসরি আপনাদের কাছে যাবে, কিন্তু যায় না।’ ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটিতে রয়েছেন সহকারী ও যুগ্ম জেলা বিচারকরা। তাদের উদ্দেশ্য করে সিইসি বলেন, ‘আপনাদের ভিজিবল হতে হবে। এর মানে এখন পযর্ন্ত কিন্তু ভিজিবল হননি, বাস্তবতা হলো এটা। এর কারণ, আপনাদের যে এত বড় দায়িত্ব আছে, সে সম্পকের্ মানুষ ওয়াকিবহাল না। ওয়াকিবহাল হবেন তখনই যখন আপনারা ভাইব্রেন্ট হবেন, ভিজিবল হবেন। আপনাদের কাজের মাধ্যমে পরিচিতি যখন বাড়বে, আপনাদের ওপর মানুষ আস্থা রাখবে, আপনাদের যখন চিনবে, আপনাদের কমিটিকে যখন চিনবে- তখন থেকে আপনাদের ওপর দায়িত্ব আসবে। ঢাকায় নিবার্চন কমিশনে আর শত শত অভিযোগ আসবে না।’ দেশের ৩০০ আসনের ১২২টি স্থানে এই কমিটির সদস্যদের এলাকা ভাগ করা হয়েছে। ২৫ নভেম্বর ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি গঠনের পর থেকে আশানুরূপ তদন্ত হয়নি বলে জানান তিনি। সিইসি বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম একটি করে হলেও ১২২টি তদন্ত সম্পন্ন হবে। সে প্রত্যাশা ছিল আমাদের। কিন্তু ১০০টিও হয়নি, ২২টিও হয়নি। কেননা, এখন পযর্ন্ত আপনারা প্রস্তুতি নিয়ে গুছিয়ে উঠতে পারেননি।’ ‘আপনারা আপনাদের করণীয় যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে মানুষের অভিযোগ শুনবেন, আমলে নেবেন। যেন অভিযোগ ঢাকা পযর্ন্ত না এসে এলাকায় বসে সমাধান পায়।’ কেএম নুরুল হুদা বলেন, ‘সরকারের উদ্দেশ্য ছিল আরপিও পরিবতর্ন করে আপনাদের মানুষের কাছে একেবারে প্রতিটি মানুষের, প্রতিটি সমস্যার কাছাকাছি থেকে যেন তারা সমাধান পায়Ñ সে ব্যবস্থা করা। তারা যেন তাদের সমস্যা নিয়ে এখানে-ওখানে ছোটাছুটি না করে আপনাদের সামনে পেয়ে আপনাদের কাছে অভিযোগগুলো পেশ করতে পারে। আপনাদের ওপর যে দায়িত্ব অপির্ত হয়েছে, সে দায়িত্ব পালনে আপনাদের প্রোঅ্যাক্টিভ হতে হবে। মানুষকে জানাতে হবে, আপনারা আছেন।’ অনুষ্ঠানে নিবার্চন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘আইনের শাসন না থাকলে গণতন্ত্র অথর্হীন হয়ে পড়ে। আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নিবার্চন।’ ‘নিবার্চন আইনানুগ না হলে সেই নিবার্চন কালো নিবার্চন। আমরা কালো নয়, স্বচ্ছ সাদা নিবার্চন করতে চাই।’ ব্রিফিংয় আরও বক্তব্য রাখেন নিবার্চন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও নিবার্চন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।