ঢাকা-৯ আসনে মিজার্ আব্বাসের মনোনয়ন বাতিল

প্রকাশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
মিজার্ আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মিজার্ আব্বাসের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নিবার্চন কমিশন। হাইকোটের্র নিদের্শ অনুসারে বৃহস্পতিবার তার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বাতিল করে কমিশন। মিজার্ আব্বাসের আইনজীবী একেএম এহসানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে মনোনয়নপত্র বাতিলের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মিজার্ আব্বাস আপিল করবেন বলেও জানিয়েছেন তার আইনজীবী। এর আগে সকালে মিজার্ আব্বাসের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য হাইকোটের্র আদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোটের্র আপিল বিভাগ। আদালত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করতে ইসিকে নিদের্শ দেন। আদালতের নিদের্শ অনুযায়ী যাচাই-বাছাই শেষে মিজার্ আব্বাসের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় নিবার্চন কমিশন। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে মিজার্ আব্বাসের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার একেএমন এহসানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটনির্ জেনারেল মাহবুবে আলম। এর আগে মঙ্গলবার নিবার্চন কমিশনে থাকা ঢাকা-৯ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রাথীর্ মিজার্ আব্বাসের মনোনয়নপত্র রিটানির্ং কমর্কতার্র কাছে পাঠানোর নিদের্শ দেন হাইকোটর্। পাশাপাশি রিটানির্ং কমর্কতাের্ক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার মনোনয়নপত্র বাছাই সম্পন্ন করতে বলা হয়। পাশাপাশি নিধাির্রত সময়ের মধ্যে ঢাকা-৯ আসন থেকে মিজার্ আব্বাসের মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এছাড়া মনোনয়নপত্র রিটানির্ং কমর্কতার্র কাছে না পাঠিয়ে প্রধান নিবার্চন কমিশনারের কাছে রেখে দেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে নিবার্চন কমিশনের পক্ষে প্রধান নিবার্চন কমিশনার, নিবার্চন কমিশন সচিব, যুগ্ম সচিব (নিবার্চন পরিচালনা-২ অধিশাখা) ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনের রিটানির্ং কমর্কতাের্ক রুলের জবাব দিতে বলা হয়। মঙ্গলবার মিজার্ আব্বাসের করা আবেদনের শুনানি করে হাইকোটর্ এ আদেশ দেন। গত ২৮ নভেম্বর ঢাকা-৯ আসন থেকে চেষ্টা করেও মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মিজার্ আব্বাস। ১ ডিসেম্বর এটি নিবার্চন কমিশন অফিসে জমা দেয়া হয়। এরপর নিয়ম অনুযায়ী ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্রটি রিটানির্ং কমর্কতার্র কাছে পাঠানোর কথা থাকলেও তা করা হয়নি। ফলে ওই মনোনয়নপত্রের যাচাই-বাছাই সম্পন্নের নিদের্শনা চেয়ে হাইকোটের্র রিট করা হয়। প্রসঙ্গত, গত ২৮ নভেম্বর নিধাির্রত সময়ের পর ঢাকা-৯ আসনে মিজার্ আব্বাসের পক্ষে তার সমথর্করা মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। কিন্তু তা নিতে অস্বীকার করা হয়। সমথর্কদের অভিযোগ, মিজার্ আব্বাসের ছবি দেখেই শেষদিনে মনোনয়নপত্র জমা নিতে গড়িমসি করেন রিটানির্ং অফিসারের কাযার্লয়ের কমর্কতার্রা। তবে, নিবার্চনী কমর্কতার্রা দাবি করেন, নিধাির্রত সময় শেষ হওয়ার পর মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসায় তা জমা নেয়া সম্ভব হয়নি। ঢাকা-৯ আসন থেকে মিজার্ আব্বাসের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন তার সমথর্করা। তাদের দাবি, বিকেল সাড়ে ৪টায় তারা রিটানির্ং অফিসারের কাযার্লয়ে এসে হাজির হন। কাগজপত্র তৈরি করতে কিছুটা সময় লেগেছে। কিন্তু, ইচ্ছাকৃতভাবে তার মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে নিবার্চনী কমর্কতাের্দর দাবি, যারা মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় বিকেল ৫টার মধ্যে অফিস কম্পাউন্ডে ছিলেন, তাদেরগুলো নেয়া হয়েছে। মিজার্ আব্বাসের মনোনয়নপত্র নিয়ে তার সমথর্করা সময় শেষ হওয়ার পর আসায়, তা নেয়া সম্ভব হয়নি। পরে গত ১ ডিসেম্বর প্রধান নিবার্চন কমিশনারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন মিজার্ আব্বাস।