দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছরে মেয়র আতিকুল ইসলাম

জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করবে দুটি 'কুইক রেসপন্স টিম'

প্রকাশ | ১৫ মে ২০২২, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম শনিবার গুলশানের নগরভবনে 'দশটায় দশ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি পরিষ্কার' কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন -ফোকাস বাংলা
বর্ষায় যাতে কোনোভাবেই জলবদ্ধতার সৃষ্টি না হয় সেজন্য উত্তর সিটি করপোরেশনের দুটি কুইক রেসপন্স টিম মাঠে কাজ করবে। ইতোমধ্যে দুটি টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। শনিবার রাজধানীর গুলশান-২ এ নগর ভবন প্রধান কার্যালয়ে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছর পূর্তিতে 'মিট দি প্রেস' অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। জলাবদ্ধতা বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বিগত সময়ের তুলনায় ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা অনেক কমে গেছে। আমি দুই বছর আগে দায়িত্ব গ্রহণের সময় ডিএনসিসিতে জলাবদ্ধতার ১৪২টি হটস্পট ছিল, গত বছর সেটি ছিল ১০১টি এবং এ বছর সেটিক ৪২টিতে নেমে এসেছে। এ বছর দ্রম্নত সময়ে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে আমরা দশটি অঞ্চলের জন্য দশটি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করেছি। তারা প্রয়োজনীয় পাম্প ও পানি অপসারণের যন্ত্র নিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করবে। ০৯৬০২২২২৩৩৩ এবং ০৯৬০২২২২৩৩৪ এই দুটি হট লাইন নম্বরে ফোন করে অথবা সবার ঢাকা অ্যাপের মাধ্যমে জলাবদ্ধতার বিষয়ে জানানো যাবে এবং তাৎক্ষণিক কুইক রেসপন্স টিম পৌঁছে যাবে। শহরের যানজটের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, যানজট নিরসনে শহরের প্রতিটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ার জন্য স্কুল বাসের ব্যবস্থা করার বিষয়ে পরিকল্পনা নিয়েছি। আমি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দ্রম্নত বিষয়টি নিয়ে আলাপ করে ব্যবস্থা নেব। এরফলে যানজট অনেকাংশেই কমে আসবে। কারণ তখন অত সংখ্যক প্রাইভেট কার স্কুলের শিক্ষার্থীদের নেয়ার জন্য আর বের হবে না। রাজধানীর ভেতরে নৌপথ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাতিরঝিলের নৌপথকে সম্প্রসারিত করার উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি। ফলে গুলশান গুদারাঘাট পর্যন্ত ওয়াটার ট্যাক্সিগুলো এসে থেমে না গিয়ে সেগুলো বারিধারা হয়ে কালাচাঁদপুর পর্যন্ত যাবে। অন্যদিকে আরেকটি রুট গিয়ে ঠেকবে কড়াইলবস্তি পর্যন্ত। আমরা হাতিরঝিল থেকে পানি পথের এই রুট বর্ধিত করার জন্য ৯টি স্থান উঁচু এবং ব্রিজ করব। যাতে করে নিচ দিয়ে ওয়াটার ট্যাক্সি আর উপরে সড়ক, ব্রিজ দিয়ে যেন যানবাহন চলাচল করতে পারে। বিজিএমইএ ভবন ভাঙা গেলে সেতু ভবন কেন না- এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, রাজধানীতে যানজট নিরসনে বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি সংলগ্ন নবনির্মিত সেতু ভবন এবং বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ) ভবন ভেঙে ফেলার অনুরোধ জানিয়েছি। মহাখালীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে সেতু ভবন এবং বিআরটিএ ভবন গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই দুটি ভবনের কারণে সড়কটি চওড়া করা যাচ্ছে না। মহাখালী উড়াল সড়কে গাড়ি উঠতে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে দিনভর এই সড়কে যানজট লেগে থাকে। সেখানে ইউটার্ন নির্মাণ করেও তার সুফল মিলছে না। তাই যানজট নিরসনে সড়কের পাশে ভবন দুটি ভবন ভেঙে ফেলতে হবে। তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান বাড়ি সংলগ্ন ইউলুপটি কাজে না আসার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ সড়কের জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে সেতু ভবন ও বিআরটিএ ভবন। এখন এই দুটি ভবনের জন্য সড়কটি চওড়া করা যাচ্ছে না। ফলে ইউলুপ করার পরও গাড়ি ঘুরতে পারছে না। মহাখালী উড়াল সড়কে গাড়ি উঠতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই আমি সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করব, দ্রম্নত সময়ের মধ্যে নিজ উদ্যোগ ভবন দুটি ভেঙে ফেলার জন্য। এই শহরের পরিবেশ বা নাগরিকদের সুবিধার্থে কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ ভবন ভাঙা যেতে পারলে এই দুটি ভবন কেন ভাঙা যাবে না? মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছর পূর্তিতে 'মিট দি প্রেস' অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজাসহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন।