একনেক বৈঠক

সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে ক্ষমতা কমানো হয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রীর

প্রকাশ | ১৮ মে ২০২২, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ সভায় বক্তব্য রাখেন -ফোকাস বাংলা
ম যাযাদি রিপোর্ট করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা এবং দেশে দেশে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি এবং খাদ্য সংকটের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য দেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দেশবাসীকে মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'দেশবাসীকে আমি অনুরোধ করব, সবাই একটু সাশ্রয়ী হোন, মিতব্যয়ী হোন। ব্যবহারের দিক দিয়ে সবাই যদি একটু সচেতন হোন তাহলে খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়।' প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি মিলনায়তনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এ কথা বলেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী এ সময় মন্ত্রণালয় এবং বিভাগগুলো অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণের এবং এ মুহূর্তে দেশের জন্য যেটা দরকার সেই প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে টাকা খরচ ও সম্পদ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত এ দেশের স্বাধীনতা কখনো ব্যর্থ রাষ্ট্র হতে পারে না। বাংলাদেশের নাগরিকরা সব সময় বিশ্বে মাথা উঁচু করেই চলবে। দেশের জনগণের মুখে হাসি ফোটানোর একটিমাত্র লক্ষ্য নিয়ে নির্বাসিত জীবন থেকে দেশে ফিরেছেন উলেস্নখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে আমি দেশে ফিরেছিলাম কারণ, এটা আমার বাবার (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের) স্বপ্ন ছিল।' ১৯৮১ সালের ১৭ মে নির্বাসিত জীবন থেকে ফিরে আসার দিনটির কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'যখন আমি বিমানবন্দরে অবতরণ করি, তখন আমি আমার নিকটাত্মীয়দের কাউকে পাইনি, কিন্তু লাখো মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। এটাই আমার একমাত্র শক্তি এবং আমি এই শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।' দেশে ফেরার পর দেশব্যাপী সফরের সময় নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছেন উলেস্নখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'তবে আমি বাংলাদেশের মানুষের আস্থা, ভালোবাসা পেয়েছি। কত অপপ্রচার, কত কথা, কত কিছু তারপরেও বাংলাদেশের জনগণ আমার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন।' তিনি বলেন, শিক্ষাজীবন থেকে রাজনীতি এবং মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করলেও এত বড় দায়িত্ব নেওয়ার কথা কখনো তার ভাবনাতেও ছিল না। প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪১তম ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ছিল গতকাল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। এ সময় তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে থাকায় ঘাতকদের হাত থেকে রেহাই পান। পরবর্তী সময়ে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রম্নয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এরপরই ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে শেখ হাসিনা ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেখানে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা এবং বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের দিকে যাচ্ছে সেখানে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। টাকা খরচের ক্ষেত্রে বা সব ক্ষেত্রেই আমাদের অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। অহেতুক আমাদের সম্পদ যেন আমরা ব্যয় না করি। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কারণে এ কথা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে হবে। এখানে অনেকে সমালোচনা করবে। আওয়ামী লীগ সরকারে আছে বলে তাও কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে। যদি অন্য কেউ থাকত, দেশের যে কী অবস্থা হতো! রাস্তায় রাস্তায় মারামারি শুরু হয়ে যেত, সেটা হয়নি। আমরা সেই জায়গা থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন, করোনা এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আমাদের অর্থনীতির ওপর বিরাট প্রভাব ফেলেছে। শুধু আমরা না, পৃথিবীর সব উন্নত ও অনুন্নত দেশে এই সমস্যা। ইউরোপের এমন এমন দেশ আছে যেখানে ১৭ থেকে ৫০ শতাংশ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। জার্মানির মতো জায়গায় ভোজ্যতেলের অভাব। বৈশ্বিক মন্দার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সারা বিশ্বে কিন্তু এ অবস্থা বিরাজমান। তারপরও আমরা অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু এর প্রভাব পড়বে। যেগুলো আমাদের আমদানি করতে হয় তার তো দাম বেড়ে গেছে। আমাদের জাহাজ ভাড়া বেড়ে গেছে। তাছাড়া যেখানে যেখানে উৎপাদন হতো সেখানে যুদ্ধ এবং করোনার কারণে উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। এর ফলে আমাদের দেশে একটু মূল্যস্ফীতি বা জিনিসের দাম বাড়বে।' পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্যই ছিল এটা আমাদের করতে হবে। এজন্য আমরা করেছি। এর বিদু্যৎটা যখন আসবে অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। অর্থনীতি আরও সচল হবে, আরও চাঙা হবে। আর এটা তো সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব একটি বিদু্যৎকেন্দ্র। এটা নিয়ে এত সমালোচনা কেন? এটা নিয়ে কারা কথা বলছে। যারা এটা নিয়ে কথা বলবেন আমার মনে হয় তাদের বাড়ির বিদু্যৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তারা জেনারেটর চালিয়ে চলুক, এটাই বোধহয় ভালো। তাহলে তারা বুঝতে পারবেন বিদু্যতের প্রয়োজন আছে কি না? নাকি গরিব মানুষের ঘরে বিদু্যৎ গেছে সেটা তাদের পছন্দ নয়। তারাই খাবেন ভালো থাকবেন। আর আমাদের গরিব মানুষগুলো ধুঁকে ধুঁকে মরবেন- এটাই বোধহয় তারা চায়।' পদ্মা সেতু নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক কথা। তারপর এলো পদ্মা সেতুর রেললাইন। ৪০ হাজার কোটি টাকা রেললাইন করার কী দরকার ছিল? কারা চলবে এই রেললাইনে। আমি অপেক্ষা করছি এই রেললাইন যখন চালু হবে তারা রেলে চলেন কিনা? এই মানুষগুলোকে মনে হয় ধরে নিয়ে দেখানো দরকার এই রেল সেতুতে মানুষ চলে কিনা। তিনি বলেন, একটি খরস্রোতা নদী। বিশ্বের সব থেকে খরস্রোতা নদী অ্যামাজান এবং এই পদ্মা। সেই নদীতে সেতু এবং সেখানে রেললাইন দিচ্ছি। সেই রেললাইন নিয়ে এত সমালোচনা! এত টাকা কেন খরচ করা হলো। কিন্তু এই একটি সেতু নির্মাণের পর দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর অর্থনীতিতে যে গতিশীলতা আসবে, মানুষগুলোর চলাচল ও পণ্য পরিবহণসহ সর্বক্ষেত্রে, সেটা তারা একবারও ভেবে দেখবে না। মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হয়। আর এখন রেলে করে তারা চলে আসবে। এই রেল তো মোংলা পোর্ট পর্যন্ত সংযুক্ত হচ্ছে। ভবিষ্যতে এটা আমরা পায়রা পোর্ট পর্যন্ত করব। সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। কিন্তু এই মুহূর্তে সেটা খুব প্রয়োজন নেই বলেই ধীরগতিতে যাচ্ছি। তিনি বলেন, 'তাদের সমালোচনা ৪০ হাজার কোটি টাকা নাকি আমরা ধার করেছি। যারা এসব কথা বলছেন তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, পদ্মা সেতুর একটি টাকাও কারও কাছ থেকে ঋণ নেইনি, ধার করিনি। এটা সম্পূর্ণ বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে করা হচ্ছে। এটা তাদের জানা উচিত। সরকারি কোষাগার থেকে টাকা দিয়ে এটা করছি। তারা অর্বাচীনের মতো একেকটা কথা বলবেন- আর মিথ্যা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন, এটা কিন্তু গ্রহণ করা যায় না। এমনকি যখন আমরা স্যাটেলাইটে উৎক্ষেপণ করলাম, তারা বলেছেন এটার কী দরকার ছিল? মানে যা-ই করবেন তাতেই বলবেন এটার কী দরকার ছিল? তাদের জন্য দরকার না থাকতে পারে, আমাদের মানুষের জন্য দরকার আছে, আমি মনে করি।' শেখ হাসিনা বলেন, 'বাংলাদেশে কতগুলো নাম আর চরিত্র আছে। তাদের আমরা চিনি। আমাদের করা সব সুযোগ-সুবিধা ব্যবহারও করবেন। আবার সমালোচনাও করে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন- এটা বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু জানে।' স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। সভা শেষে সরকারপ্রধানের তরফ থেকে পরে সংবাদ সম্মেলনে সভার আলোচনার বিষয়ে ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, মহামারির ধকল সামলে বিশ্ব অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়ানোর পথে, সেই সময় ইউক্রেন যুদ্ধ নতুন করে সংকটে ফেলে দিয়েছে। সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যন্ত হওয়ায় বেড়ে গেছে খাদ্য ও জ্বালানির দাম, সেই সঙ্গে সার্বিক মূল্যস্ফীতিও বাড়ছে। আমদানির খরচ বেড়ে যাওয়ায় টান পড়ছে ডলারের রিজার্ভে। ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পড়ে যাচ্ছে টাকার মান। এর মধ্যে প্রতিবেশী দেশ শ্রীলংকার দেউলিয়া হওয়ার দশাও ভয় জাগাচ্ছে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, 'সরকারি-বেসরকারি সব খাতে সব বিষয়ে সাশ্রয়ী হতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী, বিদু্যৎ-পানি থেকে শুরু করে কোনো খাতে অপচয় করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী ভ্রমণের বিষয়ে নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন। সুতরাং সব বিষয়ে সাশ্রয়ী হতে হবে, অহেতুক সম্পদ নষ্ট করবেন না।' তবে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে কৃচ্ছ্রতা সাধনের এই পরামর্শে শঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, 'এই বার্তা ভয়ের কোনো কারণে নয়। আমরা সঠিক পথেই আছি। অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমাদের তুলনীয় নয়। তবে নিজের ঘর সামলানো অনেক বেশি দরকার, সেটাই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।' অন্যদের মধ্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ডক্টর শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, আইএমইডি সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মো. মামুন আল রশীদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। 'আমার ডানা কাটা হলো' প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে ক্ষমতা কমিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের নতুন পরিপত্রের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কারিগরি প্রকল্পে হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত অনুমোদন দিতে পারতেন পরিকল্পনামন্ত্রী। কিন্তু এখন কারিগরি বা উন্নয়ন যে প্রকল্প হোক ৫০ কোটি টাকার বেশি অনুমোদন দিতে পারবেন না পরিকল্পনামন্ত্রী। এনইসি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী সচিব। তিনি বলেন, আগে কারিগরি প্রকল্পে অনুমোদনের ক্ষেত্রে কোনো বাধা ছিল না। কিন্তু এখন ৫০ কোটি টাকার বেশি প্রকল্প হলে একনেক সভায় অনুমোদন নিতে হবে। সচিবের বক্তব্যের পরপরই হাসির ছলে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, 'আমার ডানা কাটা হলো।' দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন : আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। এনইসি সভায় আগামী অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকার মূল এডিপির প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা অথবা করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে পাওয়া যাবে ৯ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে আগামী অর্থবছরের এডিপির আকার দাঁড়াচ্ছে দুই লাখ ৫৬ হাজার তিন কোটি টাকা। এই হিসেবে আগামী অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেট চলতি সংশোধিত এডিপির চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি। তিনি বলেন, এই উন্নয়ন বাজেটের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে এক লাখ ৬০ হাজার ১৭০ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য থেকে ৯৫ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। কোন খাতে কত বরাদ্দ পরিবহণ ও যোগাযোগ : সর্বোচ্চ ৭০ হাজার ৬৯৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা, যা মোট বরাদ্দের প্রায় ২৯ শতাংশ। বিদু্যৎ ও জ্বালানি : দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ হাজার ৪১২ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ১৬ শতাংশ। শিক্ষা : তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৯ হাজার ৮১ কোটি টাকা ৩৮ লাখ টাকা, মোট বরাদ্দের প্রায় ১২ শতাংশ। গৃহায়ন ও গণপূর্ত : ২৪ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের প্রায় ১০ শতাংশ। স্বাস্থ্য : প্রায় ১৯ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের প্রায় ৮ শতাংশ। স্থানীয় সরকার : ১৬ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। কৃষি : ১০ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৪ দশমিক ১২ শতাংশ। পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ : ৯ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৪ শতাংশ। শিল্প : ৫ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২ দশমিক ২০ শতাংশ। বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি : ৪ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ১ দশমিক ৭০ শতাংশ।