শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফরিদপুরে ৫ লাখ ৫১ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন

ফরিদপুর প্রতিনিধি
  ১৮ মে ২০২২, ০০:০০
আপডেট  : ১৮ মে ২০২২, ১০:৪৪

ফরিদপুরে চলতি মৌসুমে ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে করেছে ৫ লাখ ৫১ হাজার মেট্রিক টন। ফরিদপুরে পেঁয়াজ আবাদে উপযোগী হওয়ায় দেশের মোট পেঁয়াজ উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে এ জেলা। জেলায় তিন ধরনের পেঁয়াজ চাষ হয়। মুড়ি কাটা, হালি ও দানা পেঁয়াজ। নয়টি উপজেলার মধ্যে নাগরকান্দা, সালথা, বোয়ালমারী, ফরিদপুর সদর, ভাঙ্গা ও সদরপুরে পেঁয়াজের আবাদ হয় বেশি। ফরিদপুর জেলার কানাইপুর বাজারসহ কয়েকটি পেঁয়াজের বাজারের গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে প্রান্তিক পর্যায়ে চাষিরা পাইকারদের (ব্যবসায়ীদের) কাছে মণ প্রতি ১২শ' থেকে ১৩শ' টাকা দরে বিক্রি করছে। জেলার বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের পেঁয়াজ চাষি আশুতোষ মালো জানান, এ মৌসুমে পেঁয়াজের আবাদে খরচ একটু বেশি হয়েছে। মণপ্রতি উৎপাদন খরচ হয়েছে ৭শ থেকে ৯শ' টাকা। চাষি পর্যায়ে মণপ্রতি ১৫শ' থেকে ১৮শ' টাকা দর পেলে বেশি লাভ হতো। কানাইপুর বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ও পেঁয়াজ চাষি শাহজাহান মিয়া জানান, শুক্রবার ও মঙ্গলবার এ বাজারে হাট বসে। গত ১৫ দিন হলো চাষি পর্যায়ে মণপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২শ' থেকে ১৩শ' টাকা। যা আগে হাজারের নিচে ছিল। তিনি বলেন, জেলার পেঁয়াজের বাজার হিসেবে বেশি পরিচিত, বাইলে বাজার, রামকান্তপুর বাজার, ঠেনঠেনিয়া বাজার, ময়েনদিয়া বাজার, ফকিরের বাজার, নালার মোড় বাজার, কাদিরদী বাজার, সাতৈর বাজার। এসব বাজারের চাষিরা প্রচুর পেঁয়াজ নিয়ে আসে। কানাইপুর বাজারের আরেক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বিলাল মাতবর জানান, আমরা চাষিদের কাছ থেকে যে দরে পেঁয়াজ কিনছি তার থেকে সামান্য বেশি দরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করছি। তিনি জানান, স্থানীয় পর্যায়ে পেঁয়াজ সংরক্ষণের আধুনিক কোনো ব্যবস্থা না থাকায় দ্রম্নত বাজারে পেঁয়াজ ছেড়ে দিতে হয় চাষিদের। ফরিদপুরের কানাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও আদর্শ পেঁয়াজ চাষি ফকির বেলায়েত হোসেন জানান, এই অঞ্চলের চাষিরা মূলত লাল তীর কিং নামে পেঁয়াজের আবাদ বেশি করেন। যার অন্য যে কোনো জাতের চেয়ে বেশি। তবে এই পেঁয়াজ বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় না। তিনি ফরিদপুর অঞ্চলের পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য হিমাগার নির্মাণের দাবি জানান। ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডক্টর হযরত আলী জানান, এ মৌসুমে জেলায় ৪১ হাজারের বেশি হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। তিনি বলেন, জেলায় সরকারি হিসাবে উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ ৫১ হাজার মেট্রিক টন। বৈরী আবহাওয়ার কারেণ গত বছরের চেয়ে ৩৮ হাজার মেট্রিক টন কম হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে বাজারের যে দর (মণপ্রতি ১২শ থেকে ১৩শ টাকা) যাচ্ছে তাতে চাষি পর্যায়ে মণপ্রতি ২শ' থেকে ৩শ' টাকা লাভ হচ্ছে। উলেস্নখ্য, ফরিদপুর জেলায় পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে ১৭ হাজার মেট্রিক টন, এর বাইরে যে পেঁয়াজ থাকে সেটা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে