মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
কুসিক নির্বাচন ২০২২

৬ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ বাতিল ১০ কাউন্সিলরের

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিলস্না
  ২০ মে ২০২২, ০০:০০

কুমিলস্না সিটি নির্বাচনে যাচাই-বাছাইয়ে ৬ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরা হচ্ছেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, সদ্য সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু-স্বতন্ত্র (বিএনপি), মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার- স্বতন্ত্র (বিএনপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মো. রাশেদুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল।

অন্যদিকে, মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ৯ কাউন্সিলর এবং ১ নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর। এদের মধ্যে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর না থাকায় বাতিল হয়েছে সংরক্ষিত ৭ নং ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর ফারজানা আক্তার, ঋণ খেলাপির কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ৮ নং ওয়ার্ডে একরামুল হক বাবু, ১৪ নং ওয়ার্ডে আবুল কালাম আজাদ, ২ নং ওয়ার্ডে বিলস্নাল হোসেন, হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায় বাতিল হয়েছে ১৭ নং ওয়ার্ডে সৈয়দ রোমন আহমেদ, ২১ নং ওয়ার্ডে মো. মিন্টু, জামাল হোসেন কাজল, ২৩ নং ওয়ার্ডে আবুল কালাম আজাদ, ৪ নং ওয়ার্ডে কবির আহমেদ এবং শিক্ষাগত সনদ দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় ১৯ নং ওয়ার্ডে জুয়েলের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, ৬ জন মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নই বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। অপর দিকে ১০ কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়ন বৈধতার জন্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের নিকট ২০-২২ মে পর্যন্ত আপিল দায়ের করতে পারবেন।

কুসিক নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৬ মে। প্রতীক বরাদ্দ ২৭ মে। ১০৫ কেন্দ্রের সব কটিতেই ইভিএমে আগামী ১৫ জুন নির্বাচন হবে।

স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে

পদত্যাগের ঘোষণা

কায়সারের

এদিকে, কুমিলস্না সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিলস্না বিভাগ) এবং দলের কুমিলস্না মহানগর শাখার সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর ধর্মসাগর পাড়ের বাসভবনে সাংবাদিক সম্মলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। দলের সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক বরাবরে ই-মেইলে পাঠানো পদত্যাগপত্রটি সাংবাদিকদের সরবরাহ করা হয়। এতে উলেস্নখ করা হয়েছে 'বিএনপি যৌক্তিক আন্দোলনের কারণে এই অবৈধ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। বিএনপির এ সিদ্ধান্ত আমি নীতিগতভাবে সমর্থন করি। কিন্তু কুমিলস্নার হামলা-মামলার শিকার নির্যাতিত বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অনুরোধে নির্বাচনে অংশ নিতে হচ্ছে।'

সংবাদ সম্মেলনে কায়সার বলেন, কোনো হুমকি ও ষড়যন্ত্র তাকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে পারবে না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি বিজয়ী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন। এ সময় কায়সারের অনুসারী নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে