সারাদেশের পাঁচ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে দুই লাখ টাকা করে দিয়েছে সরকার। এই বরাদ্দ দিয়ে স্কুলের হালকা মেরামত কাজ সম্পাদন করতে হবে। তবে, মেরামত কাজের ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) দেওয়া ১৩ দফা শর্ত প্রতিপালন করে ৩০ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন প্রদান করতে হবে।
রোববার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বিষয়টি জানিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, বরাদ্দ পাওয়া স্কুলগুলোকে এই টাকায় বিদ্যালয় ভবন, ওয়াসবস্নক এবং টয়লেটের ক্ষতিগ্রস্ত পস্নাস্টার মেরামত, দরজা-জানালা, বেঞ্চ, চেয়ার, কলাপসিবল গেট ইত্যাদি মেরামত, ছাদের সিলিং বা আস্তর মেরামত, ভবনের ওয়াল, কলাম, বিম এবং ছাদের ফাটল মেরামত, বিদ্যালয় ভবনের দরজা-জানালা রঙ করা, টাইলস (যদি থাকে), সিঁড়ির রেলিং, বিদ্যালয়ের গেট এবং ড্রেনেজ সিস্টেম মেরামত, বস্ন্যাক বোর্ড পস্নাস্টার ও রঙ করা, টয়লেটের পাইপ, ড্রেন, বেসিন, কমোড, প্যান ইত্যাদি মেরামত বা প্রতিস্থাপন; টিউবওয়েলের পস্নাটফর্ম মেরামত এবং টিউবওয়েলের যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন, বিদ্যালয় ভবনের বৈদু্যতিক ব্যবস্থা যেমন- সুইচ, ওয়্যারিং, ফ্যান ইত্যাদি মেরামত; বিদ্যালয়ের মাঠে মাটি ভরাট, বিদ্যালয় ভবনের নিরাপত্তার স্বার্থে যেকোনো মেরামত ও বিদ্যালয়ের চাহিদাভিত্তিক অন্যান্য মেরামত করা যাবে।
এই টাকা ব্যয়ে ১৩ দফা শর্ত দিয়ে অধিদপ্ত বলছে, এসব মাইনর মেরামত কার্যক্রম বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে সম্পাদন করতে হবে। কাজ শুরুর আগে অবশ্যই উপজেলা প্রকৌশলীর কাছ থেকে মেরামত কাজের প্রাক্কলন প্রস্তুত করে উপজেলা শিক্ষা কমিটির অনুমোদন নিয়ে মেরামত কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সংশ্লিষ্ট সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এসএমসিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবেন। অধিদপ্তর জানিয়েছে, মেরামতের জন্য যেসব কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে, তা মেরামতের আগে ছবি বা ভিডিও করতে হবে এবং মেরামতের পর ছবি ও ডিডিও করে রাখতে হবে। সেসব ছবি ও ভিডিও রেজিস্ট্রি করে সংরক্ষণ করতে হবে।
Copyright JaiJaiDin ©2022
Design and developed by Orangebd