পদ্মা সেতু নির্মাণের হিসাব চেয়েছেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ | ২৪ মে ২০২২, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে কত টাকা নেওয়া হয়েছে। এ দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঋণ শোধ করার জন্য কত টাকা গুনতে হবে। জনগণ তা জানতে চায়। সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক হত্যার হুমকির প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। জনগণের পকেটের টাকা থেকে ট্যাক্সের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। এখানে সব দুর্নীতির সীমা ছাড়িয়ে গেছে। জনগণ জানতে চায়, পদ্মা সেতুর অর্থের জন্য তাদের কাছ থেকে কত টাকা কেটেছেন। কত টাকা পদ্মা সেতুতে ব্যয় করেছেন আর কত টাকা নিজের পকেটে ভরিয়েছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই। একটি দেশে জোর করে যিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন, তার মুখ থেকে এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন, এ ধরনের সন্ত্রাসী বক্তব্য কী করে আসে। মূলত: প্রধানমন্ত্রী নার্ভাস হয়ে গেছেন। তিনি দুর্বল হয়ে গেছেন। তিনি এখন দেখতে পাচ্ছেন- আর ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। এ জন্য একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এ রকম কটূক্তি করেছেন। এখনো সময় আছে, ক্ষমা চান। অন্যথায় জনগণ ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ দেবে না। জনগণ টেনে-হেঁচড়ে নামাবে ক্ষমতার তখতে-তাউস থেকে। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ 'উন্নয়ন উন্নয়ন' বলে চিৎকার করলেও জনগণের উন্নয়ন হয়নি। তারা উন্নয়ন করেছেন পি কে হালদারের, শিক্ষামন্ত্রীর ভাইয়ের, উন্নয়ন করেছেন ফরিদপুরের ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ ও তার ভাইয়ের এবং উন্নয়ন করেছেন নিজেদের। তারা এ দেশকে একটা লুটপাটের রাজত্বে পরিণত করেছেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের চাপে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে গেছে। কৃষক, শ্রমিক, মজুর যারা দিন আনে দিন খান, তারা আজকে হিমশিম খাচ্ছেন না শুধু, তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তারা জীবন-যাপন করতে পারছেন না। ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উলস্নাহ আমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।