পরকীয়ার সন্দেহে প্রবাসফেরত স্ত্রীকে হত্যা করেন নুরুল

প্রকাশ | ২৪ মে ২০২২, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট
১২ বছর আগে নুরুলের সঙ্গে বিয়ের কিছুদিন পরই জর্ডান চলে যান রেশমা। পরে বিভিন্ন বিষয়ে বিবাদের জেরে তাদের ডিভোর্স হয়। তবে রেশমা দেশে ফিরলেই আবার তার সঙ্গে সংসার করার আকুতি জানায় নুরুল। তাতে রাজি হয়ে সংসার শুরু করেন রেশমা। কিন্তু কয়েকদিন পরই পরকীয়ার সন্দেহ নিয়ে রেশমাকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যান নুরুল। রোববার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর কাকরাইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করার পর সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারেরর্ যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানর্ যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) ডিআইজি মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, ১২ বছর আগে নিহত রেশমার সঙ্গে নুরুলের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১০ বছর বয়সী একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামীর অনুমতি নিয়ে রেশমা জর্ডান চলে যায়। সেখানে থাকাবস্থায় দুজনের মধ্যে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিবাদ তৈরি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তিন মাস আগে তাদের ডিভোর্স হয়। গত ২৮ এপ্রিল রেশমা দেশে ফিরে এলে তালাক হওয়া সত্ত্বেও স্বামী নুরুল তাকে নিয়ে আবার সংসার করতে চায়। এজন্য রেশমা ও তার আত্মীয়স্বজনদের কাছে বিভিন্নভাবে আকুতি-মিনতি করতে থাকে সে। এক পর্যায়ে সবাই রাজি হলে গত ১৫ মে থেকে আবারও ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার বরিশুর এলাকায় সংসার শুরু করে তারা। র্ যাব-১০ অধিনায়ক আরও বলেন, ঘটনার দিন সকালে এই দম্পতি তাদের ছেলে মো. ইয়াসিনকে (১০) মাদ্রাসায় ভর্তি করাতে যায়। ফেরার পথে ইয়াসিনকে তার নানার বাসায় পাঠিয়ে দুজন মিলে পাসপোর্টের ফটোকপি করতে যায়। এরপর বেলা পৌনে ১টার দিকে নুরুল তার শ্বশুরবাড়ি এসে জানায়, রেশমাকে সে তার ভাড়া করা মেসে আটকে রেখে এসেছে। কিন্তু স্বজনরা মেসের দরজা ভেঙে রক্তাক্ত অবস্থায় গলা কাটা রেশমার লাশ ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখে।