বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় মৃতু্যশূন্য দেশে শনাক্ত ৩৪

ম যাযাদি রিপোর্ট
  ২৫ মে ২০২২, ০০:০০

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক দিনের ব্যবধানে আবারও মৃতুশূন্য দেশ। ফলে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৩০ জনেই অপরিবর্তিত আছে। তবে এই সময়ে নতুন করে আরও ৩৪ জনের দেহে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও কোভিড ইউনিটের প্রধান ডা. মো. জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭৯টি করোনা পরীক্ষাগারে ৪ হাজার ৩৩৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে মোট ৪ হাজার ৩২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৪০ লাখ ৯১ হাজার ৬৬০টি। এ ছাড়া পরীক্ষায় আরও ৩৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২২৮ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লাখ ১ হাজার ৩৮৫ জনে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট ১৮ হাজার ৫৯৭ জন পুরুষ ৬৩ দশমিক ৮৪ ভাগ ও ১০ হাজার ৫৩৩ জন নারী ৩৬ দশমিক ১৬ ভাগ মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার শতকরা দশমিক ৭৯ ভাগ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৬ ভাগ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩৪ ভাগ। এ ছাড়া শনাক্ত বিবেচনায় মৃতু্যর হার এক দশমিক ৪৯ ভাগ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃতু্য হয়। গেল বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো দেশে পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে সেই দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে বলে ধরা হয়। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২১ সেপ্টেম্বর। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। সরকারের লক্ষ্য ছিল এই হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার।

২০২০ বছরের মার্চে ছড়ানো করোনা বছরের শেষে নিয়ন্ত্রণে আসার পর ২০২১ সালের এপ্রিলের আগে থেকে আবার বাড়তে থাকে। এর মধ্যে প্রাণঘাতী ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পর এপ্রিলের শুরুতে লকডাউন এবং ১ জুলাই থেকে শাটডাউন দেয় সরকার। সংক্রমণ কমে আসার পর আগস্টের মাঝামাঝি থেকে ধীরে ধীরে সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেওয়া হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়লে দেশে আবারও বেড়ে যায় করোনা সংক্রমণ। গত ২১ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ স্কুল-কলেজ বন্ধসহ পাঁচ দফা নির্দেশনা জারি করে। করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় আবারও ২২ ফেব্রম্নয়ারি থেকে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয় সরকার। ২ মার্চ থেকে খোলা হয় প্রাথমিক স্কুল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে