দিনে ফল ব্যবসায়ী রাতে দুর্ধর্ষ ডাকাত

প্রকাশ | ২৬ মে ২০২২, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট
দিনে ফল ব্যবসায়ী। আর রাতে দূর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার। অবশেষে সেই ডাকাত সর্দার শহীদুল গ্রেপ্তার হয়েছে। জামিনে বেরিয়ে ফল ব্যবসার আড়ালে গড়ে তুলেছিল নিজস্ব ডাকাত দল। ডাকাত হিসেবে দেশের আট জেলায় ত্রাস ছিল সে। তার বিরুদ্ধে আটটি মামলা আছে। কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকার মালিবাগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। তিনি জানান, সম্প্রতি ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিলস্না, খুলনা, বরিশালসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। এসব ঘটনায় অনেক ডাকাত গ্রেপ্তার হয়ে কারাদন্ড ভোগ করে আবার জামিনেও বেরিয়েছে। তাদেরই একজন শহীদুল। সে জামিনে বের হয়ে রাজধানীর উত্তরায় ফলের ব্যবসা শুরু করে। আর গোপনে ডাকাত দল গঠন করতে থাকে। তার দলে ১১ জন ডাকাত আছে। শহীদুল ডাকাত দলের সর্দার। সে বরিশালের উজিরপুর, বিমানবন্দর থানা, গৌরনদী, মাদারীপুরের কালকিনীসহ বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি সংগঠন করেছে। তার বিরুদ্ধে ২টি ডাকাতির প্রস্তুতি, ২ অস্ত্র আইনে ২টি চুরি, ১টি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও ১টি অন্যান্য ধারার মামলা রয়েছে। ৭টি মামলায় সে বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে মুক্তিলাভ করার পর আত্মগোপনে এসে সাময়িক সময়ের জন্য সে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় মৌসুমি ফল বিক্রেতার বেশ দিন ধরে বসবাস করে আসছিল। মামলায় শহীদুলকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদন্ড দেয়। আদালত জামিনে বেরিয়েই আত্মগোপনে চলে গিয়েছিল। সে ২০১০ সাল হতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সে ডাকাতি করে আসছিল। এসপি মুক্তা ধর বলেন, টানা চেষ্টার পর গত ২৫ মে ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানাধীন এলাকা হতে শহীদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার পিতার নাম তাহের মোলস্না। বাড়ি বরিশাল জেলার উজিরপুর থানাধীন শোলক গ্রামে। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আজাদ রহমান উপস্থিত ছিলেন।