আস্থার পরিবেশ তৈরি করুন বিচারকদের প্রতি সিইসি

প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
সোমবার নিবার্চন ভবনের অডিটোরিয়ামে একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন উপলক্ষে বিচারকদের উদ্দেশে বক্তৃতা করেন প্রধান নিবার্চন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা Ñযাযাদি
ভোটারদের মাঝে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে নিবার্চনী দায়িত্বে থাকা বিচারিক হাকিমদের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন প্রধান নিবার্চন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। সোমবার নিবার্চন ভবনের অডিটোরিয়ামে একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন উপলক্ষে বিচারকদের উদ্দেশে এক ব্রিফিংয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না আপনাদের মাধ্যমে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হোক, আস্থার পরিবেশ যেন সৃষ্টি হয়- সেটা আমরা চাই। ‘যিনি অপরাধী তার অপরাধকে আমলে নিতে হবে, যে অপরাধী নয় তাকে ন্যায়বিচার দিতে হবে। তাহলেই আস্থা অজর্ন হবে।’ সিইসি বলেন, ‘আপনাদের আচরণে, আপনাদের কাজে, দক্ষতায় মানুষের মনে, প্রাথীর্, রাজনীতিবিদের মনে যেন আস্থার সৃষ্টি হয়, সে দায়িত্ব আপনাদের।’ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের বিচারিক মনোভাব নিয়ে দায়িত্ব পালনের আহŸান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু নিবার্চন করতে নিবার্চন কমিশন জাতি, সংবিধান ও ভোটারদের কাছে দায়বদ্ধ। সহযোগিতা, বিচারিক মনোভাব দিয়ে আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন। সাংবিধান ও আইনের ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করবেন।’ একেবারেই নিরপেক্ষভাবে আইন মেনে একটি নিবার্চন পরিচালনা করতে চান বলে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমরা একেবারেই নিরপেক্ষভাবে একটা নিবার্চন অনুষ্ঠান করতে চাই। আমাদের কোনো দল নেই, পক্ষ নেই, ব্যক্তি নেই। শুধুমাত্র নিয়মকানুন মেনে আমরা সুষ্ঠু নিবার্চন করতে চাই।’ ব্রিফিংয়ে নিবার্চন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, আইনের শাসন না থাকলে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়, তাকে আমরা ‘হলুদ গণতন্ত্র’ বলি। আমরা হলুদ গণতন্ত্র চাই না। চাই স্বচ্ছ ও স্বাভাবিক গণতন্ত্র। অবাধ ও সুষ্ঠু নিবার্চনের জন্য আইনানুগভাবে নিবার্চন করার কথা বলেন তিনি। সুষ্ঠু নিবার্চনের জন্য সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র‌্যাবসহ সবব ধরনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে বলে জানান তিনি। নিবার্চনী দায়িত্ব পালনে সোম, মঙ্গল ও বুধবার ৬৪০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও জানান মাহবুব তালুকদার। বক্তব্য দেন নিবার্চন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, কবিতা খানম, নিবার্চন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান ও ইটিআইর মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক।