মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন যেসব তারকা নেতা

প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
বেশ কয়েকজন সাবেক ও বতর্মান মন্ত্রী, সাংসদসহ প্রভাবশালী নেতা শেষ পযর্ন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যমতে, ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশের ৪০টি জেলার ৩১৭ জন প্রাথীর্ মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। দলের মনোনয়ন না পাওয়া, জোটের শরিকদের ছাড়, নতুনদের সুযোগ দিতে এসব মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। চঁাদপুর-২ (মতলব দক্ষিণ ও উত্তর) আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বতর্মান সাংসদ, ত্রাণ ও দুযোর্গ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। এ আসনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। চলতি আওয়ামী লীগের সময়ে জামাতার কারণে আলোচনায় এসেছিলেন মায়ার পরিবার। তার মেয়ের জামাই র?্যাব-১১-এর অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুন মামলার অন্যতম আসামি। বতর্মানে তিনি কারা হেফাজতে রয়েছেন। জামালপুরের টানা পঁাচবারের সাংসদ ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা জামালপুর-৫ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তিনি দলের মনোনয়ন পাননি। দীঘির্দন থেকেই ওই আসনে প্রাথীর্ বদলের দাবি জানাচ্ছিলেন স্থানীয় নেতা-কমীর্রা। তবে এবার ওই আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মোজাফফর হোসেন। জামালপুরে বাড়ি হলেও তিনি দীঘির্দন ধরে ঢাকাতেই ব্যবসা করেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রতীক ধানের শীষ না পেয়ে ভোলা-১ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পাথর্ ও তার মা রেবা রহমান। এ আসনে গত শনিবার গভীর রাতে ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলম নবী আলমগীরকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে আওয়ামী লীগের বতর্মান সাংসদ গোলাম মোস্তফাও মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রাথীর্ হিসেবে মনোনয়ন কিনেছিলেন। এ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন মহাজোটের শরিক জাতীয় পাটির্র মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল। নীলফামারীতে বাড়ি হলেও রানা মোহাম্মদ দীঘির্দন ঢাকাতেই থাকেন। দলের হিসাব নিকাশে রংপুর-২ আসন (তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ) থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জাতীয় পাটির্র কেন্দ্রীয় নেতা জিয়াউদ্দিন বাবলু। এ আসনে মহাজোটের বাইরে গিয়ে লাঙ্গল মাকার্য় লড়বেন আরেক জাতীয় পাটির্র নেতা আসাদুজ্জামান চৌধুরী শাবলু। জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) থেকে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া শাকিলা ফারজানার বিরুদ্ধে। শেষ পযর্ন্ত গতকাল তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন কল্যাণ পাটির্র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম। বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মো. শোকরানা। দলীয় মনোনয়ন পাননি তিনি। ওই আসনে কাজী রফিকুল ইসলামকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। কোন জেলায় কতজন প্রত্যাহার করলেন ঢাকা মহানগর ২২ জন, ঝালকাঠি ২, দিনাজপুর ১৬, লালমনিরহাট ৪, বগুড়া ১৭, চট্টগ্রাম ১৯, বরগুনা ৪, শেরপুর ৪, জামালপুর ১২, নেত্রকোনা ৫, চঁাদপুর ৯, বরিশাল ১১, টাঙ্গাইল ২৩, ফরিদপুর ৫, পটুয়াখালী ৯, মাদারীপুর ২, পাবনা ৮, পঞ্চগড় ১, পিরোজপুর ৩, চঁাপাইনবাবগঞ্জ ৭, সুনামগঞ্জ ৯, মৌলভীবাজার ৫, সিলেট ১২, হবিগঞ্জ ৭, মেহেরপুর ১, কুমিল্লা ৭, বাগেরহাট ৪, খুলনা ৯, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৬, রংপুর ৫, বগুড়া ১৭, চুয়াডাঙ্গা ২, জয়পুরহাট ১, সাতক্ষীরা ৫, নীলফামারী ৬, নাটোর ৭, সিরাজগঞ্জ ২, ভোলা ৬, রাজশাহী ৮ ও গাইবান্ধা ১৬ জন।