২০ চরমপন্থির যাবজ্জীবন

প্রকাশ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
মাদারীপুরে স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) এক পুলিশ কমর্কতার্সহ দুজনকে হত্যার দায়ে চরমপন্থী দলের ২০ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদÐ দিয়েছে আদালত। খালাস দেয়া হয়েছে ছয় আসামিকে। বুধবার ঢাকার দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩Ñএর বিচারক মনির কামাল এ রায় দেন। যাবজ্জীবন পাওয়া ২০ আসামির মধ্যে ১৩ জন পলাতক আছেন। রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত অপর সাত আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মামলার কাগজপত্র বলছে, মাদারীপুর জেলার স্পেশাল ব্রাঞ্চে কমর্রত ছিলেন এসআই আবুল হাসনাইন আজম খান এবং প্রধান সহকারী কামরুল আলম খান ঠাকুর। মোটরসাইকেলে করে তারা একত্রে আসা-যাওয়া করতেন। ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল মোটরসাইকেলে করে তারা যখন মাদারীপুরের রাজৈর থানার শঁাখের পাড় মোড়ে আসেন, তখন চরমপন্থী দলের সদস্যরা তাদের আটকায়। পুলিশ পরিচয় জানার পর তাদের স্থানীয় কুমার নদের পাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের ইঞ্জিনচালিত নৌকায় উঠিয়ে হাত-পা বঁাধা হয়। এরপর তাদের হত্যা করে লাশ টুকরা টুকরা করে নদীতে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করলে ২০০৫ সালের ৫ মে চরমপন্থী দলের সদস্য আক্কেস আলী মাতবর গ্রেপ্তার হন। তখন তিনি এ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এই আসামির দেখানো মতে কুমার নদ থেকে মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। মামলাটি তদন্ত করে ২০০৭ সালে পুলিশ ৩২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। পরের বছর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলার তদন্ত চলার সময় বন্ধুকযুদ্ধে চার আসামি নিহত হন। এক আসামি কারাবন্দি অবস্থায় মারা যান। এক আসামি জামিনে থাকা অবস্থায় মারা যান। দÐপ্রাপ্ত পলাতক ১৩ আসামি: জসিম শেখ, মাছিম শেখ, দাদন ফকির, জাফর মাতুব্বর, মজনু মাতুব্বর, ফয়েজ শেখ, উজ্জ্বল হওলাদার, কুব্বাস মাতুব্বর, হালিম আকন, আমীর হোসেন শেখ, মিরাজ শিকদার, হেমায়েত মোল্লা ও সুমন বাঘা। কারাগারে পাঠানো ৭ আসামি: মোশাররফ শেখ, বজলু আকন, দিপু বিশ্বাস, সৈকত মোল্লা, আশ্রাফ শরিফ, আজাদ মোল্লা ও দবির মোল্লা।