ভোটে সহোদরের ১৬ বছরের বৈরিতা দূর!

প্রকাশ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
আসন্ন সংসদ নিবার্চন দুই ভাইকে এক করেছে। দীঘর্ ১৬ বছরের বৈরিতা ভুলে তারা এখন ধানের শীষকে বিজয়ী করতে কাজ করছেন। যে রাজনীতি আপন দুই ভাই আলমগীর কবীর ও আনোয়ার হোসন বুলুর সম্পকের্র মাঝে পাহাড় তৈরি করেছিল, সেই রাজনীতি তাদের এক করায় স্থানীয় নেতাকমীের্দর মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। বড় ভাই আলমগীর কবীর নওগঁা-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনে বিএনপি থেকে আগে তিনবার এমপি হয়েছেন। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন। ২০০৬ সালের শেষ দিকে তিনি দল ছেড়ে এলডিপিতে যাওয়ার পর থেকেই ছোট ভাই আনোয়ার হোসেনে বুলু তৃণমূলে দলের হাল ধরেন। ২০০৮ সালে মনোনয়ন পেলেও বতর্মান সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের কাছে পরাজিত হন। তিনি বিএনপির জাতীয় নিবার্হী কমিটির সদস্যের দায়িত্বে রয়েছেন। প্রায় এক যুগ তৃণমূল নেতাকমীের্দর বিপদে-আপদে পাশে থাকায় বুলুকেই বিএনপির মনোনয়ন দেয়ার দাবি ছিল। কিন্তু, হঠাৎ করেই তার বড় ভাই আলমগীর কবীর বিএনপিতে ফিরে আসেন। অবশেষে দল তাকেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি থেকে ধানের শীষের চূড়ান্ত প্রাথীর্ করেছে। এতে দুই উপজেলার বিএনপি নেতাকমীের্দর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। গত ২২ নভেম্বর নওগঁাতে আলমগীর কবীরকে অবাঞ্ছিতও ঘোষণা করা হয়। তবে, রাজনীতি দুই ভাইয়ের মধ্যকার সব দ্ব›দ্ব দূর করেছে। নওগঁা-৬ আসনে তারা ধানের শীষকে বিজয়ী করার জন্য এক মঞ্চে ভোট চাচ্ছেন। দুই ভাই একসঙ্গে নিবার্চনী গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, মতবিনিময় সভাসহ সব কাযর্ক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। দুই ভাইয়ের পুনঃমিলনকে স্থানীয়রা ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে। নেতাকমীের্দর মাঝে চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে। রাণীনগর থানা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএস আল ফারুক জেমস বলেন, ‘নওগঁা-৬ আসনে বিএনপি বলতে তাদের দুই ভাইকেই বোঝায়। এবার তারা একসঙ্গে কাজ করছেন। বিষয়টি মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আগামী নিবার্চন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হলে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।’ এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেন বুলু বলেন, ‘নানা কারণে প্রায় ১৬ বছর আমাদের দুই ভাইয়ের সম্পকর্ ভালো যাচ্ছিল না। কিন্তু, রাজনীতি আবার আমাদের দুই ভাইকে একত্রিত করে দিয়েছে। এখন আমরা সব বিভেদ ভুলে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিতে কাজ করছি। সাধারণ ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলে এখানেই বিপুল ভোটে ধানের শীষ বিজয়ী হবে।’ এ বিষয়ে আলমগীর কবির বলেন, ‘এলাকার মানুষ চেয়েছেন বলেই আবারও রাজনীতিতে ফিরে এসেছি। এই আসনের মানুষ এখন অত্যাচারের কশাঘাতে জজির্ড়ত। অত্যাচারিত শাসকের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করার জন্য আল্লাহ আমাদের দুই ভাইকে এক করেছেন। আশা করি, আসন্ন নিবার্চনে কোনো পরাশক্তিই আমাদের বিজয় আটকাতে পারবে না।’