'ভাগ্যবতী' ও 'ভাগ্যরাজ'-এ দিন বদলের আশা

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২২, ০০:০০

ম এস আর এ হান্নান
মাগুরার মহম্মদপুরে উথালী গ্রামে ৪৬ ও ৪৮ মণ ওজনের 'ভাগ্যবতী' ও 'ভাগ্যরাজ' -যাযাদি
'ভাগ্যবতী' ও 'ভাগ্যরাজ'। দুটি গরুর আশ্চর্যজনক নাম। ভাগ্যবতীর ওজন প্রায় ৪৬ মণ এবং ভাগ্যরাজের ওজন প্রায় ৪৮ মণ। ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজকে দিয়েই দিন বদলের আশা দেখছেন শফিকুল এবং রিক্তা দম্পতি। গরু দুটিকে দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে রোজ মানুষ আসছেন। আসছে কোরবানিতে গরু দুটিকে বিক্রি করে লালিত স্বপ্ন ও আশা পূরণ করতে চান ওই দম্পতি। মাগুরার মহম্মদপুরের উথালী গ্রামের শফিকুল ও রিক্তা দম্পতির পরম যত্নে লালিত-পালিত 'ভাগ্যবতী' ও 'ভাগ্যরাজ' ২৫ লাখ টাকা বিক্রির আশা করছেন। এরমধ্যে 'ভাগ্যবতী' এর দাম ১২ লাখ এবং 'ভাগ্যরাজ' এর দাম ১৩ লাখ টাকা বিক্রির আশা করছেন ওই দম্পতি। শফিকুল ও রিক্তা দম্পতি 'ভাগ্যবতী' ও 'ভাগ্যরাজ'কে দীর্ঘ ৪ বছর লালন-পালন করছেন। গরু দুটিকে তারা সন্তানের মতো যত্ন করে বড় করেছেন। উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের উথালী গ্রামের শফিকুল ইসলাম একজন দরিদ্র মানুষ। পেশায় গরু ব্যবসায়ী। তিনি ওই এলাকার ছিদ্দিক মোল্যার ছেলে। তার স্ত্রী রিক্তা সুলতানা গৃহিণী। তাদের তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে সুখী চতুর্থ শ্রেণিতে, দ্বিতীয় মেয়ে খুশি প্রথম শ্রেণিতে এবং ছোট মেয়ে তাবাচ্ছুম তাদের কোলজুড়ে আছে। দরিদ্র এই পরিবারে 'ভাগ্যবতী' ও 'ভাগ্যরাজ' তাদের ভাগ্য বদলের দিশা। শফিকুল ২০১১ সালে একই উপজেলার চরবড়রিয়া গ্রামের হালিম মোল্যার মেয়ে রিক্তা সুলতানাকে বিয়ে করেন। দরিদ্র সংসারে অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। ২০১৯ সালে 'ভাগ্যবতী' ও 'ভাগ্যরাজ' কে লালন-পালন শুরু করেন। গরু দুটিকে নিয়ে তাদের স্বপ্ন বুনন শুরু। দিনবদলের সেই সুপ্ত স্বপ্ন এখন বাস্তবায়নের অপেক্ষায়। শফিকুল ইসলাম বলেন, 'ভাগ্যবতী ও ভাগ্যরাজ আমাদের ভাগ্য বদলের অবলম্বন। ন্যায্যদামে বিক্রি করতে পারলে স্বপ্ন পূরণ হবে।'