শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ড্রোন দিয়ে মশক নিধন অভিযান শুরু

যাযাদি ডেস্ক
  ০৩ জুলাই ২০২২, ০০:০০

রাজধানীতে ড্রোন উড়িয়ে মশক নিধন অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ২ জুলাই থেকে আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত ডিএনসিসির আওতাধীন প্রতিটি বাসা-বাড়িতে অত্যাধুনিক ড্রোনের মাধ্যমে মশার উৎস খুঁজতে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

শনিবার সকালে গুলশান-২-এর ৭৪ নম্বর রোডের একটি সুউচ্চ ভবনের ছাদে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এ সময় ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমানসহ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, মশক নিধন কর্মীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উত্তরায় ড্রোন উড়িয়ে একই কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ডিএনসিসি।

এদিন ড্রোনের মাধ্যেমে অন্য ছাদে মশার উৎপত্তিস্থল খুঁজে দেখার অভিযানের খবরে ভবনের নিচে উৎসুক মানুষ ভিড় করে। ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান বলেন, 'আমাদের মশক নিধন কর্মীদের যদি বলি তোমরা ছাদে উঠে মশার উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত কর, তাহলে তারা দুই, চার বা সর্বোচ্চ ১০টি বাড়ি দেখবে। আবার

\হঅনেক বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয় না তাদের। কিন্তু একটি উঁচু ভবনে যখন আমরা উঠে ড্রোন দিয়ে দেখছি, তখন আশপাশের শত শত বাড়ি কিন্তু আমরা এক ঘণ্টার মধ্যে দেখে ফেলতে পারছি। এতে করে যেমন কাজ সহজ হয়েছে, তেমনি দ্রম্নততার সাথে মশার উৎপত্তিস্থল ছাদও কিন্তু আমরা চিহ্নিত করে ফেলছি। সেই সাথে তাৎক্ষণিক সেই ভবনে গিয়ে আমরা মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছি। মূলত এই কারণেই আমরা মশক নিধন কার্যক্রম বেগবান করতেই আধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন ব্যবহার করছি।'

আমাদের তুরাগ (উত্তরা) প্রতিনিধি জানান, সকালে ডিএনসিসি অঞ্চল-১ এর সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা আলীর নেতৃত্বে রাজধানীর উত্তরায় অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় প্রায় ২৬টি বাড়ির ছাদ ড্রোনের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়। উত্তরা ৪নং সেক্টরের একটি বাড়ির ছাদে পরিত্যক্ত বালতির পানিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে ভবন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয় অভিযান পরিচালনাকারী দল।

ড্রোন উড়িয়ে মশক বিরোধী অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. মাহমুদা আলী সাংবাদিকদের বলেন, 'ড্রোন ব্যবহার করে উঁচু উঁচু বাড়ির ছাদের প্রতিটি পয়েন্ট আমরা দেখতে পাই। এতে করে আমাদের টিম সহজেই গিয়ে স্থানটিতে কাজ করতে পারে। এটা খুবই কার্যকরী পদ্ধতি।' তিনি বলেন, '২০১৯ সাল থেকে মশক দমনে আমরা যে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে আসছি এই কার্যক্রমে ড্রোন প্রযুক্তি যুক্ত হওয়ায় আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে। মশক নিয়ন্ত্রণে আমরা জিরো টলারেন্স।'

চলতি সপ্তাহ থেকে উত্তরার অন্যান্য সেক্টরগুলোতেও ড্রোনের সাহায্যে বাসাবাড়ির ছাদে মশার উৎস খুঁজে বের করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান ডিএনসিসির ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার উত্তরা সেক্টর-৪ এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে মশার উৎস শনাক্তকরণ কার্যক্রমের ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।

ওই সময় তিনি বলেন, নগরের প্রতিটি বাড়িতে প্রবেশ করে ছাদ বা বেলকনিতে মশার উৎস খুঁজে বের করা কঠিন এবং এটি অনেক সময়সাপেক্ষ কাজ। তাই অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করে প্রতিটি বাড়ির ছাদে এডিসের লার্ভা আছে কি না, তা খুঁজে বের করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে