বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বছরে দুই লাখ টন বর্জ্য হয় বিভিন্ন মিনিপ্যাকে

যাযাদি ডেস্ক
  ০৩ জুলাই ২০২২, ০০:০০

বাংলাদেশে প্রতিবছর পণ্যের মিনিপ্যাক বা স্যাশে (শ্যাম্পু, পেস্ট, সসজাতীয় পণ্য) থেকে এক লাখ ৯২ হাজার ১০৪ টন বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে। এসব পস্নাস্টিকের মিনিপ্যাকেট পরিবেশের জন্য বড় হুমকি। স্যাশের আকার ছোট হলেও পরিবেশের জন্য এর প্রভাব বিশাল।

শনিবার রাজধানীর লালমাটিয়ায় আয়োজিত 'পস্নাস্টিক স্যাশে: স্মল প্যাকেট উইথ হিউজ এনভায়রনমেন্ট ডেস্ট্রাকশন' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন (এসডো)।

এ গবেষণায় বাংলাদেশে পস্নাস্টিক মিনিপ্যাকের ব্যবহার এবং ব্যবহার-পরবর্তী বর্জ্য সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। এসডোর গবেষণা অনুসারে- খাবার, ওষুধ, কসমেটিকসের মিনিপ্যাক ব্যবহার প্রচুর বেড়েছে।

গবেষণায় ঢাকা ও রংপুরের ৩৫৩ জন উত্তরদাতার মধ্যে ৬৭ শতাংশ মানুষ শ্যাম্পু বা কন্ডিশনারের ক্ষেত্রে মিনিপ্যাক ব্যবহার করে। ৫০ শতাংশ মানুষ স্যালাইন প্যাক, ৩৫ শতাংশ মানুষ মসলা ও কফি, ৩০ শতাংশ ইনস্ট্যান্ট পানীয় পাউডার ক্রয়ের ক্ষেত্রে মিনিপ্যাক বেশি পছন্দ করেন।

এ সময় সাবেক সচিব এবং এসডোর সভাপতি সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ বলেন, পস্নাস্টিকের মিনিপ্যাক পরিবেশের জন্য খুব

বিপজ্জনক। পস্নাস্টিকের মিনিপ্যাকেট আকারে ছোট হলেও পরিবেশে এর প্রভাব বিশাল। এ জন্য একবার ব্যবহারযোগ্য পস্নাস্টিক পণ্য ব্যবহারে বিশেষ করে স্যাশে ব্যবহারের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে বিধিনিষেধ কার্যকর করতে হবে।

এসডোর উপদেষ্টা এবং পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেসুর রহমান বলেন, বর্তমানে মানুষ মিনিপ্যাকের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে। তাই জনগণের মধ্যে আরও সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এসব পণ্য উৎপাদনকারীদের উচিত মিনিপ্যাক বন্ধ করে রিফিল সিস্টেমের দিকে যাওয়া।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে