মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে নিয়ে পদ্মা সেতু দেখতে চান জাফরুলস্নাহ

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৪ জুলাই ২০২২, ০০:০০
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণ মতামত কেন্দ্র আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুলস্নাহ চৌধুরী -যাযাদি

সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সঙ্গে নিয়ে পূর্ণিমা রাতে পদ্মা সেতু দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুলস্নাহ চৌধুরী বলেছেন, 'চিন্তা করেন প্রথমে আপনার (শেখ হাসিনা) গাড়ি, তার পেছনে খালেদা জিয়ার, পেছনে তিনজন মুক্তিযোদ্ধা দাঁড়িয়ে থাকবে। আস্তে আস্তে যাব। এখনো সময় আছে, অন্যদিকে পয়সা খরচ না করে এক পূর্ণিমা রাতে চলেন না যাই। এটাই হবে বাংলাদেশ।'

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে 'হয়রানিমূলক মামলায় রাজবন্দি ও ধর্মীয় নেতাদের দীর্ঘ কারাবাস :নাগরিক সমাজের উদ্বেগ' শীর্ষক আলোচনা সভায় ডা. জাফরুলস্নাহ এসব কথা বলেন। গণ মতামত কেন্দ্র এ সভার আয়োজন করে।

আয়োজকদের উদ্দেশে ডা. জাফরুলস্নাহ বলেন, আপনাদের ওপর আমার রাগ আছে। আপনারা এখানে ঘরে বসে মিটিং করেন। আমরা বেশ কয়েকবার বলেছি চলেন হাজার দশেক লোক নিয়ে হাইকোর্ট ঘেরাও করি। দুদিনের মধ্যে তাদের সবার জামিন না হলে আমরা সবাই ঘেরাও করে থাকব। ওদের মুক্তি না হলে হাইকোর্টে ঈদের জামায়াত হবে না। আমরাই ওখানে মাঠ দখল করে বসে থাকব। তিনি বলেন, আজকে আমাদের একটা মাত্র দাবি দুদিনের মধ্যে খালেদা জিয়াসহ সব আলেম ও রাজনৈতিক কর্মীর মুক্তি চাই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, 'হাজি সেলিমকে প্যারোলে মুক্তি দিতে পারেন, কিন্তু খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু দেখতে দিতে পারেন না।'

আসন্ন বাজেটে কৃষক শ্রমিকদের কথা উলেস্নখ নেই মন্তব্য করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, 'বাজেট বুঝতে হলে আপনাকে ১৩শ' পৃষ্ঠা পড়তে হবে। কয়জনে বই পড়ছে জানি না, এমপি সাহেবরা কী করছে জানি না। আমাদের বাজেট হচ্ছে চাণক্য পন্ডিতের চালাকি; চারিদিকে খালি প্যাঁচ আর প্যাঁচ।'

তিনি আরও বলেন, 'জিনিসপত্রের যে দাম বেড়েছে, ১০ তারিখে কী আমরা ঈদ (উদযাপন) করতে পারব? কিছু লোক করবে, কিন্তু বেশিরভাগ লোক তা পারবে না। আমার বাচ্চাটার জন্য কাপড় কিনতে পারব না, সেমাই বানাতে পারব না, মাংস পাব না; এখন তো ভাগের মাংসও পাওয়া যায় না।'

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মাদ ইবরাহিম (বীরপ্রতীক) সভাপতির বক্তব্যে বলেন, 'আমরা সবাই মিলেমিশে শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা মিলেমিশে থাকতে চাই বলে আমাদের এখানে ভারতের মতো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয় না। এর কৃতিত্ব বাংলাদেশের মানুষের, আওয়ামী লীগের না।'

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি তার বক্তব্যে আলেমদের মুক্তির দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুলস্নাহ প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে