বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
দেশে বন্যার হালচাল

নদ-নদীর পানি কমছে উন্নতি হচ্ছে পরিস্থিতি

হ আরও ৫ জনের মৃতু্য হ টাঙ্গাইলে ফের অবনতি
ম যাযাদি ডেস্ক
  ০৫ জুলাই ২০২২, ০০:০০

প্রায় সব নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় দেশের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। তবে সোমবার ৩ জেলার ৩ নদীর ৪ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর রয়েছে। রোববার ৪ নদীর ৫ পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর ছিল। এ ছাড়া টাঙ্গাইলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ফের অবনতির খবর পাওয়া গেছে। এদিকে, সারাদেশে বন্যায় আরও ৫ জনের মৃতু্য হয়েছে। এ নিয়ে মৃতু্যর সংখ্যা দাঁড়াল ১০৭।

সোমবার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি ৪৭ থেকে কমে ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু কুশিয়ারা নদীর দুই পয়েন্টের পানি কিছুটা বেড়েছে। এই নদীর অমলশীদ পয়েন্টের পানি ৪৯ থেকে বেড়ে সোমবার ৮০ এবং শেওলা পয়েন্টের পানি ৮ থেকে বেড়ে ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যায়। এদিকে পুরনো সুরমা নদীর দিরাই পয়েন্টের পানি সোমবার বিপৎসীমার নিচে নেমেছে। সোমেশ্বরীর নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ১৭ থেকে কমে ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যায়।

এদিকে, সারাদেশে বন্যায় আরও ৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতু্যর সংখ্যা দাঁড়াল ১০৭। এর মধ্যে সিলেটেই মারা গেছেন ৫৬ জন, ঢাকা বিভাগে এক, রংপুর বিভাগে ১১ এবং ৩৯ জন ময়মনসিংহ বিভাগে।

গত ১৭ মে থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত এই ১০৭ জনের মৃতু্য হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বন্যা-বিষয়ক বিবৃতিতে আরও জানানো হয়- এ ছাড়া বন্যার কারণে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৪৫৭ জন। এর মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৭ হাজার ৯৮০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ১৭ মে থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে সিলেট জেলায় ১৮, সুনামগঞ্জে ২৮, হবিগঞ্জে ৫, মৌলভীবাজারে ৫, ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইলে এক, ময়মনসিংহে ৬, নেত্রকোনায় ১৭, জামালপুর ৯, শেরপুরে ৭, কুড়িগ্রামে ৪ এবং লালমনিরহাটে ৭ জন রয়েছে।

আমাদের স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল জানান, টাঙ্গাইলের সব নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আবার অবনতি হয়েছে। নদীর পানি বাড়ায় বিভিন্ন উপজেলার নদী-তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা পস্নাবিত হচ্ছে। একই সঙ্গে নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত কয়েক দিনে ভূঞাপুর, নাগরপুর, টাঙ্গাইল সদর ও কালিহাতী উপজেলার কয়েকটি গ্রামের ঘরবাড়ি, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা যমুনার পেটে চলে গেছে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার সমান সমান অবস্থানে ছিল। এ ছাড়া যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ী পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে