গ্যাস বিদু্যৎ সংকটে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০২২, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট
গত এক সপ্তাহ ধরে সারাদেশে গ্যাস এবং বিদু্যতের যে সংকট তৈরি হয়েছে তার কারণ খুঁজতে এ সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট রাশেদুল হাসান বলেন, গ্যাসের সিস্টেম লসের নামে করা দুর্নীতি বন্ধ করতে না পারলে এর কোনো সমাধান পাওয়া যাবে না। গত ২১-২৪ মার্চ গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন যে গণশুনানি করে সেখানে নাগরিক প্রতিনিধি হিসেবে আমরা উপস্থিত ছিলাম। আমরা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে গ্যাসের দাম না বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ স্পট মার্কেটের গ্যাস আমদানি বন্ধ রাখতে অনুরোধ করেছিলাম। কারণ কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির হিসাবমতে, সাড়ে ৮ শতাংশ গ্যাস সরবরাহে সিস্টেম লস আছে। আমাদের যুক্তি ছিল যদি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিস্টেম লস কমিয়ে দুই শতাংশের মধ্যে আনা যায় তাহলে উচ্চমূল্যের গ্যাস আমদানি করতে হবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় গত ৫ জুন এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন দাম বৃদ্ধির আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতি ঘনমিটার ৯ দশমিক ৭০ পয়সা থেকে বৃদ্ধি করে ১১ দশমিক ৯১ টাকা অর্থাৎ ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। একই সঙ্গে আমরা লক্ষ করলাম বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অবৈধ সংযোগ কাটার ব্যবস্থা নিয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে কম গ্যাস সরবরাহের অজুহাতে বিদু্যৎ উৎপাদন কমে গেছে প্রায় ২৫০০-৩০০০ মেগাওয়াট। আমাদের প্রশ্ন যেখানে দেশে ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদু্যৎ উৎপাদন হয় বলা হচ্ছে, তার বিপরীতে চাহিদা রয়েছে মাত্র ১০ থেকে ১২ হাজার মেগাওয়াট। এছাড়া তথ্যমতে গ্যাসের সংকটের কারণে মাত্র ৫০০ থেকে ১০০০ মেগাওয়াট বিদু্যৎ কম উৎপাদন হওয়ার কথা। তাহলে সংকটটা কোথায়? আমরা মনে করি, চুরি লুটপাট বন্ধ না করে জনগণের ওপর উচ্চমূল্য চাপিয়ে দিয়ে কিংবা বিদেশ থেকে উচ্চমূল্যের এলএনজি আমদানি করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না।