সীতাকুন্ডে ডিপোতে বিস্ফোরণ

শেডের ভেতর থেকে মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০২২, ০০:০০

ম সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বিএম কনটেইনার ডিপোর বিধ্বস্ত শেডের ভেতর থেকে আরেকটি মরদেহের মাথার খুলি ও পোড়া হাড়গোড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনার ৩২ দিন পর গতকাল বুধবার দুপুরে ডিপোর বিধ্বস্ত শেডের ভেতর থেকে মরদেহের মাথার খুলি ও হাড়গুলো উদ্ধার করা হয়। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সীতাকুন্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ। ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'দুপুরে বিধ্বস্ত শেডের ভেতরে থাকা ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করছিলেন ডিপোর কর্মীরা। এ সময় তারা ডিপোর লম্বা শেডের ভেতরে ধ্বস্তূপ সরানোর সময় একটি মরদেহের মাথার খুলি ও পোড়া হাড়গোড় দেখতে পান। ডিপো কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমাদের অবহিত করলে আমরা ডিপোতে পৌঁছে পোড়া হাড় গোড়গুলো উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি।' প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কাশেম জুট মিল গেট এলাকায় অবস্থিত বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে কুমিরা ও সীতাকুন্ড ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে যান। আগুন নেভানোর কাজ করার সময় রাসায়নিক ভর্তি একটি কনটেইনারের বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সীতাকুন্ড ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের ১০ জন ফায়ার ফাইটারসহ ৫১ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ২৩০ জনেরও অধিক মানুষ। এ ঘটনার সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে বেশ কয়েকটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়। তদন্তকারীরা বলেছেন, ডিপোতে থাকা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ভর্তি কনটেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং পরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে বিএম কনটেইনার ডিপোর আট কর্মকর্তাকে সুনির্দিষ্ট আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।