ক্যাম্পাস বন্ধ হলেই ইবিতে চুরি!

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০২২, ০০:০০

ম শাহাব উদ্দীন ওয়াসিম, ইবি প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাস বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চোরদের মহোৎসব শুরু হয়। এবার আবাসিক ভবন যমুনায় এক শিক্ষকের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। ওই ভবনের দ্বিতীয়তলায় সিকিউরিটি ইনচার্জ এবং চতুর্থতলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টর থাকেন বলে জানা গেছে। নিরাপত্তাপ্রধানদের ভবনেই চুরির ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোরদের বাহ্বা দিচ্ছেন অনেকেই। এর আগেও আবাসিক হলসহ বিভিন্ন জায়াগায় চোরেরা তাদের ভেল্কিবাজি দেখিয়েছে। বারবার চুরির ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর সূত্র ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানা সমালোচনা। সূত্রমতে, গত ২ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১৫ জুলাই সকাল ১০টায় খুলবে আবাসিক হল। বন্ধ শুরুর দিনেই মাইকিং করে বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ করা হয়। বন্ধের সময় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস প্রবেশকালে কঠোর আইন থাকলেও বিগত আড়াই বছরে ১ ডজন চুরির ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, আবাসিক ভবন যমুনার নিচতলার গ্রিল কেটে ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন প্রফেসর ডক্টর এইচএএনএম এরশাদ উলস্নাহর বাসা থেকে চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত ৬ জুলাই চুরির বিষটি নিশ্চিত করেছেন সিকিউরিটি ইনচার্জ আবদুস সালাম (সেলিম)। চোর ভবনের পিছনের বেলকনির গ্রিল কেটে ভেন্টিলেটর ভেঙে প্রবেশ করেছে এবং কক্ষের সবকিছু তছনছ করেছে বলেও জানান তিনি। একই ভবনের দ্বিতীয়তলায় সিকিউরিটি ইনচার্জ সেলিম ও চতুর্থতলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টর ডক্টর শফিকুল আলম থাকেন বলে জানা গেছে। ডক্টর এরশাদ ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে উপস্থিত না থাকায় চুরির পরিমাণ সম্পর্কে জানা যায়নি। কবে নাগাদ চুরি হয়ে তা না জানলেও গত ৩ জুলাই যে দুইজন চোরকে ধরা হয়েছিল তাদেরই সন্দেহ করা হচ্ছে। ওইদিন দুই চোরকে তাদের স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার আর চুরি না করার শর্তে ছাড়িয়ে নেন বলেও জানা গেছে। এর আগেও দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের জানালা দিয়ে চুরি, খালেদা জিয়া হলের গ্রিল কেটে ৯টি কক্ষে চুরি, সাদ্দাম হোসেন হলে চুরি, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের কক্ষে চুরি, শেখ রাসেল হলের সাবমার্সিবল পাম্প, নির্মাণাধীন রবীন্দ্র-নজরুল কলাভবন থেকে দুই ভ্যান টাইলস ও আট কার্টুন ক্যাবলসহ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টর ডক্টর শফিকুল ইসলাম বলেন, 'ক্যাম্পাস বন্ধ হলে সিকিউরিটি ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা থাকলে তো আমাদের তেমন কোনো চিন্তাই থাকে না। আবাসিক এলাকায় এ ধরনের ঘটনা প্রথম। কেন আমরা এত পুলিশ, আনসার দিয়ে বিষয়টা রোধ করতে পারছি না সেটা নিয়ে সকালে বসেছিলাম। আশা করি দ্রম্নত সমাধান হবে।'