বিজয় দিবসের নানা আয়োজনে মুখর বঙ্গভবন

প্রকাশ | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৪৭ বছর পূতিের্ত নানা আয়োজন আর নানা শ্রেণি পেশার মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে বঙ্গভবন। রোববার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক, সামরিক-বেসামরিক কমর্কতার্, বিদেশি ক‚টনীতিক, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সমাজের নানা পেশার মানুষের পদচারণা ছিল রাষ্ট্রপ্রধানের বাসভবনে। বিজয় দিবসে বরাবরের মতো সংবধর্না অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, যা পরিণত হয় মিলন মেলায়। এবারও কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতি ছিল বঙ্গভবনের সবুজ গালিচায়। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন সামনে থাকায় রাজনৈতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখগুলো দেখা খুব একটা মেলেনি। বরেণ্য শিল্পীদের দেশাত্মবোধক ও লোকগান, শিশুশিল্পী আর সশস্ত্র বাহিনীর বাদক দলের সংগীতের মূচ্ছর্না এই আয়োজনের স্বাতন্ত্র্য এনে দিয়েছিল। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। বিকাল সাড়ে তিনটায় স্ত্রী রাশিদা খানমকে সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল বঙ্গভবনের মাঠে আসেন রাষ্ট্রপতি। এর কিছুক্ষণ আগে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী মঞ্চে আসার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় জাতীয় সংগীত। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপ্রধান। এরপর বেলুন উড়িয়ে ‘বিজয় উৎসব’ এর সূচনা করা হয়। এবারই প্রথম বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে ‘বেলুন উৎসব’ করা হলো। বঙ্গভবনের মাঠ ও ছাদ থেকে কয়েক শ বেলুন ওড়ানো হয়। পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের শারীরিক অবস্থার খেঁাজ-খবর নেন এবং তাদের সাবির্ক সহায়তার আশ্বাস দেন। তারা ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল ও মালদ্বীপের ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের সদস্যদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন। অনুষ্ঠান মাঠের ভিভিআইপি এনক্লোজারে বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কেক কাটেন। পরে তারা মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিদেশি অতিথি, সুপ্রিম কোটের্র বিচারপতি, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধানসহ সামরিক-বেসামরিক কমর্কতার্, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচাযর্, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বঙ্গভবনের এই অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করে বাংলাদেশ টেলিভিশন। বঙ্গভবনের এই অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, অথর্মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। নিবার্চনে আওয়ামী লীগের জোটশরিক যুক্তফ্রন্টের নেতা একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীও অংশ নেন এই অনুষ্ঠানে। ছিলেন বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবী জাফরুল্লাহ চৌধুরীও। ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত জজর্ কোচেরি, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আলর্ রবাটর্ মিলার, ভারতীয় হাই কমিশনার হষর্ বধর্ন শ্রিংলা, যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার অ্যালিসন বেøইক, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পোসহ বিভিন্ন দেশের ক‚টনীতিকরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে শিল্পী রফিকুল আলম, ফাহমিদা নবী, বাপ্পা মজুমদার, মেহরীন, মুনিরা বাউল গান গেয়ে শোনান। এ ছাড়া শিশু একাডেমির শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করে।