আটকে গেল বিএনপির চার প্রাথীর্র নিবার্চন

প্রকাশ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে ঢাকা-২০ আসনে বিএনপির প্রাথীর্ তমিজ উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নিবার্চন কমিশনের দেয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোটের্র দেয়া আদেশের ওপর চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ তুলে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে বগুড়া-৩ আসনে আদমদিঘী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপির প্রাথীর্ আব্দুল মুহিত তালুকদার ও বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনের বিএনপির প্রাথীর্ শাহজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার বাদল মনোনয়নপত্র অবৈধ করে নিবার্চন কমিশনের দেয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোটের্র আদেশের ওপর চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ চলমান রেখেছেন আপিল বিভাগ। এছাড়া মানিকগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির প্রাথীর্ আফরোজা খান রিতার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে নিবার্চন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোটের্র দেয়া স্থগিতাদেশের ওপর ‘নো অডার্র’ আদেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। ফলে এ চারজন আর নিবার্চন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে চেয়ারম্যানদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও প্রবীর নিয়োগী। নিবার্চন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুবে আলম। তমিজ উদ্দিন: ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে তমিজ উদ্দিনের পদত্যাগপত্র গ্রহণের আগেই তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। রিটানির্ং কমর্কতার্ ২ ডিসেম্বর তা বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে তিনি আপিল করলে ইসি ৬ ডিসেম্বর আপিল মঞ্জুর করে বৈধ প্রাথীর্ ঘোষণা করে। পরে এর বিরুদ্ধে রিট করেন ওই আসনের আওয়ামী লীগ প্রাথীর্ বেনজীর আহমেদ। ১১ ডিসেম্বর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোটর্ বেঞ্চ তমিজ উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নিবার্চন কমিশনের দেয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। হাইকোটের্র আদেশ স্থগিত চেয়ে তমিজ উদ্দিনের আবেদনের পর বুধবার চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত হাইকোটের্র আদেশ স্থগিত করে শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে পূণার্ঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন। মুহিত ও সরকার বাদল: উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করায় বগুড়া-৩ আসনে আদমদিঘী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপির প্রাথীর্ আব্দুল মুহিত তালুকদার ও বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনের বিএনপির প্রাথীর্ শাহজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার বাদল মনোনয়নপত্র বাতিল করে নিবার্চন কমিশন। এরপর প্রাথির্তা ফিরে পেতে তারা হাইকোটের্ আবেদন করেন। হাইকোটর্ ৯ ডিসেম্বর আলাদা রিটের শুনানি নিয়ে নিবার্চন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে নিবার্চন কমিশন। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোটের্র আদেশ স্থগিত করে দেন। একইসঙ্গে পূণার্ঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন। মঙ্গলবার পূণার্ঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ চলমান রেখেছেন। রিতাও অযোগ্য: মানিকগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির প্রাথীর্ আফরোজা খান রিতার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে নিবার্চন কমিশনের দেয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোটের্র দেয়া স্থগিতাদেশের ওপর ‘নো অডার্র’ আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে তিনি আর নিবার্চন করতে পারছেন না। সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কাজী আকতার হামিদ। রিতার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। ঋণ খেলাপের অভিযোগ এনে রিট করে সোনালী ব্যাংক। ১২ ডিসেম্বর এ রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোটর্ বেঞ্চ তার মনোনয়নপত্র বৈধ করার ওপর স্থগিতাদেশ দেন। ফলে তার ভোটের পথ আটকে যায়। এর বিরুদ্ধে তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন। আফরোজা খান রিতার বাবা সাবেক মন্ত্রী হারুনুর রশীদ খান মুন্নু মারা যাওয়ায় রিতা এবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।