জামায়াত প্রাথীের্দর প্রাথির্তা বাতিল চেয়ে রিট

প্রকাশ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে অংশ নেয়া জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রাথীের্দর প্রাথির্তা বাতিল চেয়ে হাইকোটের্ রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে। সোমবার তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চঁাদপুরী এ রিট দায়ের করেন। সোমবার বিকেলে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোটের্র বেঞ্চে এ রিট আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিবার্চন কমিশনে (ইসি) জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নেই। নিবন্ধনহীন একটি দলের প্রাথীর্রা কীভাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনের প্রাথীর্ হন- এ যুক্তিতে রিটটি দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, আজ বিকেলে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ রিটের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। প্রসঙ্গত, তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চঁাদপুরীর দায়ের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে দুই জোটের শরিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসনে জামায়াতকে ছাড় দিয়েছে বিএনপি। ২০-দলীয় শরিক দল জামায়াতে ইসলামীকে ২২টি আসন দেয়া হয়েছে। যদিও জামায়াতকে আসন বণ্টনের শুরুতে ২৫টি আসনে ছাড় দেয়ার কথা ছিল। এ নিয়ে জামায়াতে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। নিবার্চন কমিশনে নিবন্ধন হারানো জামায়াত এবার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নিবার্চন করবে। ২০০৮ সালের নিবার্চনে তারা দঁাড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট করে দুটি আসনে জয়ী হয়। আর জোটের সিদ্ধান্তে দশম নিবার্চন বয়কট করে দলটি। জামায়াতের ২২ আসন: জামায়াত নেতাদের মধ্যে চিঠি পেয়েছেন- দিনাজপুর-১ মোহাম্মদ হানিফ, দিনাজপুর-৬ মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-২ মনিরুজ্জামান মন্টু, নীলফামারী-৩ মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, গাইবান্ধা-১ মাজেদুর রহমান সরকার, সিরাজগঞ্জ-৪ মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, পাবনা-৫ মাওলানা ইকবাল হুসাইন, ঝিনাইদহ-৩ অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, যশোর-২ আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, বাগেরহাট-৩ অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ, বাগেরহাট-৪ অধ্যাপক আবদুল আলীম, খুলনা-৫ অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ মাওলানা আবুল কালাম আযাদ, সাতক্ষীরা-২ মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৩ মুফতি রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা-৪ গাজী নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-১ শামীম সাঈদী, ঢাকা-১৫ ডা. শফিকুর রহমান, সিলেট-৬ মাওলানা হাবিবুর রহমান, কুমিল্লা-১১ ডা. আবদুল্লাহ মো. তাহের, চট্টগ্রাম ১৫ আ ন ম শামসুল ইসলাম ও কক্সবাজার-২ হামিদুর রহমান আযাদ। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চঁাদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে এক রিট পিটিশন দায়ের করেন। কয়েক দফা শুনানির পর হাইকোটর্ ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রায়ে, জামায়াতকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন প্রদান আইনগত কতৃর্ত্ব বহিভূর্ত ও আইনগত অকাযর্কর ঘোষণা করা হয়। তবে তখন থেকে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি নিবার্চন কমিশন। ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নিবার্চন কমিশন (ইসি)। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর আওতায় রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেয়া হয়েছিল। দলটির নিবন্ধন নম্বর ছিল ১৪।